পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় যাবে। একই সাথে দেশটিতে যাদের মেয়াদ শেষ হয়েছে, তারা আবেদন করলে মেয়াদ বাড়ানো হবে।
ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মালয়েশিয়া নিয়ে সুখবর আছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশটি বাংলাদেশি শ্রমিক চায়। শ্রমিকের স্বার্থের সুরক্ষা চায় বাংলাদেশ। দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিক যাবে। এ ছাড়া দেশটিতে যাদের মেয়াদ শেষ হয়েছে, তারা আবেদন করলে মেয়াদ বাড়ানো হবে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুবের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কবে কর্মী যাবে তিনি জানতে চেয়েছেন। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে কথা বললাম, তারা জানালো সপ্তাহ দুয়েক লাগতে পারে। যদিও প্রধানমন্ত্রী (ইসমাইল সাবরি) এই মুহূর্তেই কর্মী দরকার বলেছেন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী) বাংলাদেশি কর্মী চান বলার পর বলেছি, আমাদের কর্মী যারা আসবে তারা যেন বৈষম্যের শিকার না হয়, তারা যেন ন্যায্যতা পায়।
এর জবাবে শ্রমিকদের প্রতি বৈষম্য না করার আশ্বাস দিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
কর্মী পাঠানো নিয়ে সিন্ডিকেটের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সব এজেন্সির নাম দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা চায় বাংলাদেশ। শ্রমিকের কল্যাণ যাতে নিশ্চিত করা হয়, সেই প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়বার কোনো শ্রমিক যেতে চাইলে পুনরায় আবেদন করতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, কোনো কোনো দেশে কোনো এক্সচেঞ্জ হাউস না থাকায় রেমিট্যান্স পাঠানো যাচ্ছে না। ব্যাংকগুলোর এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়া সরকার হঠাৎ করেই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ ঘোষণা করে। এর প্রায় সাড়ে তিন বছর পর কর্মী পাঠানোর ব্যাপারে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা হয়। এ বছরের ২ জুন ঢাকায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।।
সম্প্রতি মালয়েশিয়া সফরে করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। বুধবার (২০ জুলাই) তিনি কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতে তারা বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং আগামী দিনে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক আরও জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।