প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ওজন ও পরিমাপে ডিজিটাল রূপান্তর ভোক্তা সাধারণের জন্য সুফল বয়ে আনবে এবং এ লক্ষ্যে সরকার প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
আজ ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২২’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছি। শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সেবার সকল ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক পদ্ধতির একক অনুসরণের বিকল্প নেই। পরিমাপের গতানুগতিক পদ্ধতিকে ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে উন্মুক্ত তথ্য প্রাপ্তিসহ সঠিক পরিমাপে পণ্য ও সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে এবং টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। ওজন ও পরিমাপে ডিজিটাল রূপান্তর ভোক্তা সাধারণের জন্য সুফল বয়ে আনবে। এ লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস উপলক্ষে ওজন ও পরিমাপ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা এর সকল সদস্যভুক্ত দেশের ন্যায় বাংলাদেশের জাতীয় মান সংস্থা-বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর উদ্যোগে ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস’ উদযাপন করছে জেনে তিনি আনন্দিত।
এবারের প্রতিপাদ্য- ‘ডিজিটাল যুগে পরিমাপ’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালে বিএসটিআই আন্তর্জাতিক মান সংস্থা এবং ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিয়াস কমিশনের ন্যাশনাল কোডেক্স কনট্যাক্ট পয়েন্ট এর সদস্যপদ লাভ করে। আইএসও সদস্যপদ অর্জন করার পর থেকে আন্তর্জাতিক মান ও পরিমাপ সংস্থা প্রণীত মান অনুযায়ী বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সামগ্রী ও যন্ত্রপাতির মান নির্ধারণ এবং সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণে বিএসটিআই বাংলাদেশের জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে বাংলাদেশের নেতৃত্বে সকল সার্কভুক্ত দেশগুলোর সমন্বয়ে ২০১১ সালে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক মান সংস্থা (এসএআরএসও) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর সদর দপ্তর ঢাকায় স্থাপন করা হয়। ২০১৮ সালে ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন এবং ২০২১ সালে পণ্য মোড়কজাতকরণ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিমাপসহ সকল ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি বাস্তবায়িত হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গঠনের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও বিএসটিআই আরো ভূমিকা পালন করবে।
তিনি ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস ২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।