প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার নারীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করেছে। ২০০১ এর নির্বাচনের পর যেভাবে বিএনপি এবং জামায়াতের সন্ত্রাসীরা মেয়েদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করেছে, বাংলাদেশে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে এই অত্যাচারের শিকার না হয়েছে। মা-মেয়েকে একসঙ্গে ধর্ষণ করেছে-গণধর্ষণ করেছে।
আজ শনিবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ জাতীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে কোনো নারী ডিসি হতে পারত না, সচিব হতে পারত না। আমরা সচিব, ডিসি এবং এসপি হিসেবে নারীদের সুযোগ করে দিয়েছি। আজকে নারীরা জতিসংঘে নারীরা ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, সব ক্ষেত্রে নারী অধিকার রক্ষা করতে হবে। আমি নারীদের বিশেষ সুবিধা দিয়েছি। খালেদা বন্ধ করে দিয়েছে। খালেদা ভেবেছে সবাই নৌকায় ভোট দেবে তাই সব বন্ধ করে দিয়েছে। নারীদের বিনা চিকিৎসার সুবিধা আছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে আমরা ৬০ শতাংশ নারীদের জন্য নিদিষ্টি আওয়ামী সরকারই করেছে।
তিনি আরো বলেন, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল তৈরি করা হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ আছে। প্রতিটি পরিবারে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের হিসেব করেই ঘর দেওয়া হয়েছে। নারীরা সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সম্মেলনস্থলে সমবেত হন। নারী নেত্রীদের ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকা।
অনুষ্ঠানে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃকের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।