দেশের মানুষ ‘বেহেশতে’ আছে- এমন মন্তব্য বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে রোববারও জবাব দিতে হয়েছে।
তার দাবি, তিনি কথার কথা বলেছেন। সেটা নিয়ে সাংবাদিকেরা তাকে বিপাকে ফেলেছেন।
রোববার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশলেতের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ‘বেহেশত’ প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো ট্রু সেন্সে বেহেশত বলিনি। কথার কথা। কিন্তু আপনারা সবাই আমারে খায়া ফেললেন।’
শুক্রবার সিলেটে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের কাছে বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থা নিয়ে কথা বলেন আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে, একটি পক্ষ থেকে এমন প্যানিক ছড়ানো হচ্ছে। বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই। বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা বেহেশতে আছি।’
কোন প্রসঙ্গে বেহেশত বলেছেন, তা নিয়ে শনিবার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। তবে তাতেও সমালোচনা থামেনি। শনিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষ যখন প্রতিমুহূর্তে কষ্ট করছে, হিমশিম খাচ্ছে এবং তাদের জীবন দুর্বিষহ হচ্ছে, সেই সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন যে মানুষ বেহেশতে আছে। এর মধ্য দিয়ে জনগণের সঙ্গে তামাশা করা হয়েছে।
রোববার আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা অনেকের চেয়ে ভালো আছি। বলতে পারেন বেহেশতে আছি। আর যায় কোথায়! সবাই আমারে এক্কেরে…। এই হলো বাংলাদেশের মিডিয়ার স্বাধীনতা খর্ব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কি মিডিয়ার স্বাধীনতা খর্ব করেছি? আফটার অল আই অ্যাম আ পাবলিক ফিগার। নিশ্চয়ই আপনারা আমাকে ক্রিটিসাইজ করতে পারেন। আই ডোন্ট মাইন্ড। তবে আগামীতে সাবধান হইতে হবে। আমি খোলামেলা মানুষ। আমি শিক্ষক মানুষ। আমি যেটা মনে করি, সেটা খোলামেলা বলে ফেলি। আমার দল থেকে আমাকে ইয়ো করেছেন। পজিশনে থেকে ভালো কথা বলা দরকার।’