এইচ. আই লিংকন,মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি :
ময়লা-আবর্জনা ও কচুরিপানায় ভরে গেছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের দিঘির পারের দিঘিটি। উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের উত্তর বাসাইলের দিঘিটি ঘিরে গ্রামের নাম দিঘিরপার। প্রায় ৫ একর জায়গা জুড়ে দিঘিটির আয়োতন। দিঘির পারের শতাধিক বসতবাড়ির আবর্জনা ফেলা ও ময়লা নিষ্কাশনের পাইপলাইনের কারণে দূষিত হচ্ছে পানি। প্রায় ৩ ফুট লম্বা কচুরি পানার কারণে সূর্যের আলো পানিতে পরতে পারে না। এই দিঘির পানি একসময় গৃহস্থালিসহ সকল কজে ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে পঁচা পানির গন্ধে, মশার ও সাপের উপদ্রবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে দীঘিসংলগ্ন বাড়িতে বসবাসকারী ও দীঘিপাড়ের রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়া লোকজন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, সম্পূর্ণ দিঘিটিই আবজর্নায় ও কচুরি পানায় ভরে গেছে। তা থেকে দুর্গন্ধ বেরিয়ে পড়ছে। দিঘিটির এক ধারে রাস্তা সংলগ্ন দুইটি সাইনবোর্ড সাটানো আছে দেওয়া আছে। একটিতে ১নং খতিয়ান ভুক্ত ৫৮৮ দাগের ৩১ শতাংশ ও ৫৮৯ দাগের সাইবোর্ড টি বেশির ভাগ অংশ ভেঙ্গা হওয়ায় জমির পরিমান জানা যায়নি। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় দিঘি এটি। এক সময় এই দিঘিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত। দিঘিরপাড়সহ আশপাশের গ্রামের লোকজন সাঁতার কাটত, গোসল করত। দিঘির পানি ব্যবহার করত স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা সাজ্জাদ মাঝি বলেন, আমরা এক সময়ে এ দিঘিতে সাতার কাটতাম, গোসল করতাম। দীর্ঘ দিন ধরে কচুরির কারণে আমরা পানিতে নামতে পারিনা। নামলে শরির চুলকায়,ঘা হয়।এখন সাতার কাটতে পারি না। আমরা দিঘিতে নামতে চাই সাতার কাটতে চাই। স্থানীয় গৃহিণীরা আমেনা খাতুন বলেন, আমরা আমাদের গৃহস্থালি কাজ কাম এ দিঘিতে করতাম গত এক বছর ধরে কোন কাজ করতে পারি না। খুব সমস্যায় আছি।
বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, গত দুই বছর আগে একবার এই দিঘিটার জন্য ইউএনও বরারা আমি জানিয়েছিলাম । তখন দিঘিটার সরকারি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু দিঘিটা পরিষ্কার না করে এলাকার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই । দিঘিটা পরিষ্কার করা গেলে এলাকার লোকের জন্য খুব ভালো হবে। #