কাজী মোঃআশিকুর রহমান আশুলিয়া প্রতিনিধি
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতিনিয়ত শোনা যায় ধর্ষণ পরে খুন নামক নিরব আর্তনাদ সহ প্রকাশ্যে ধর্ষণের ঘটনা। ধর্ষিত হয় বৃদ্ব থেকে শিশু। শুধু ধর্ষণই নয় ধর্ষণের পর করা হয় খুন। ডাক্তারদের মতে এসকল ঔষধ প্রতিদিন সেবনে হার্ট এট্যাক করে মারা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
সচেতন মহল মনে করেন এসকল বিষয় ছোট করে দেখলে চলবে না,। আশুলিয়া একটি শিল্প অধ্যশিত এলাকা এই এলাকায় বহিরাগত মানুষের বসবাস অনেক বেশি।
এরা বেশির ভাগই চাকুরী জীবি বা ব্যবসায়ী। তাদের ছেলে মেয়েদের বাসায় রেখে চলে যান কর্মস্থলে। এই সময়ে ধর্ষণ কারী বেছে নেয় সুযোগ ।চলে নিরব ধর্ষণের মতো ঘটনা, কেউ বা ধর্ষিত হয়ে বলতে পারে, কেউ বা গোপন করে বেঁচে নেয় আত্মহত্যার পথ। আবার কেউ বা সম্মানের ভয়ে থাকেন নিরব,। আবার কিছু প্রকাশও পায় শাস্তি পায়। ধর্ষণ ও মরণের মুল কারন হিসেবে মনে করা হচ্ছে এই ঔষধ গুলো। আশুলিয়ার আনাচে কানাচে হাতের নাগালে পাওয়া যাচ্ছে এই ঔষধ। যৌন উত্তেজক এই ঔষধ সেবনেই বেড়ে গেছে ধর্ষণ সহ মরণের প্রবনতা।ধর্ষণের মতো ঘটনা কমাতে বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করলেও এই সকল ঔষধ সেবনে বিকৃত-হয় মস্তিস্ক ঘটছে এই মর্মান্তিক ঘটনা।
সরজমিনে গেলে দেখা যায় আশুলিয়ার বাইপাইল, ইউনিক, জামগড়া, জামগড়া ছয়তলা, নরসিংহ পুর, নিশ্চিন্ত পুর, জিরাবো, নবীনগর, বলিভদ্র, জিরানী বাজার সহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পশরা সাজিয়ে শিশু কিশোরদের দিয়ে মহাসড়কের পাশে বিক্রি করছে অবৈধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সিরাপ সহ বিভিন্ন ক্ষতিকর ঔষধ। যাদের ঔষধ সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই তাদের দিয়ে চলছে ঔষধ বিক্রয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঔষধ বিক্রেতা বলেন এসকল ঔষধ বিক্রি নিষেধ। সবাই জানেন, আমরাও জানি। কিন্তুু পেটের দায়ে ও হাতের নাগালে অল্প পুঁজিতে বেশি লাভের আশায় এই ব্যবসা করি। আমরাতো খুচরা বিক্রেতা আপনারা আগে যারা পাইকারি বিক্রেতা আছে তাদের বিক্রয় করা বন্ধ করুন।
উক্ত বিষয়ে ডাঃ সাঈমুল হুদা সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বলেন এ সমস্ত ঔষধ সেবনে হার্ট এট্যাক হওয়ার সম্ভবনা যেমন রয়েছে তেমনি হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে অল্প বয়স থেকে মধ্যে বয়সের হাজার হাজার মানুষ, যেকোন ঔষধ রেজিস্ট্রার ডাঃ এর পরামর্শ নিয়ে সেবনের পরামর্শ দেন তিনি।
এলাকা বাসী বলছেন দীর্ঘদিন যাবৎ এই সকল অবৈধ ঔষধ বিভিন্ন পাড়া মহল্লাতে পাওয়া যাচ্ছে, না যেনে নিজেদের ইচ্ছেমত সেবন করছেন তরুণ প্রজন্মের তরুন সহ নানা মুখি মানুষ। আর বেশি লাভের আশায় বিক্রি হচ্ছে, এই ঔষধ। নিম্ন মানের এই ঔষধ গুলো বর্তমানে বিক্রয় করছে বিভিন্ন ফার্মেসীর মালিক সহ বিভিন্ন মাধ্যম।
উক্ত বিষয়ে আইন থাকলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা করছেন না তদারকি আর আইন থাকা সত্ত্বেও কঠোর আইনি কোন ব্যাবস্থা না থাকায় নির্দ্বিধায় ব্যবসা করে যাচ্ছেন এই চক্রটি। নিরব রয়েছেন সাভার উপজেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ।
আমরা আশা করি এই ঔষধ বিক্রয় বন্ধ হলে কমে যাবে মৃত্যুর হার কমে যাবে ধর্ষণের মত মরণ নাশক ব্যধি।