মিয়ানমারের সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর আগের তুলনায় বাংলাদেশে বেশি ইয়াবা প্রবেশ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে স্রোতের মতো ইয়াবা আসছে, যা আগের তুলনায় প্রায় আড়াই গুণ বেশি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আগের বৈঠকের কার্যবিবরণীর অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে আরও অংশ নেন হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, নূর মোহাম্মদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও রুমানা আলী।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, মিয়ানমারের সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর আগের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি ইয়াবা বাংলাদেশে ঢুকছে। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হলেও কোনও ফল পাওয়া যায়নি। সেখানকার সামরিক সরকার বরং ইয়াবা কারবারিদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। নাফ নদ ছাড়াও দুর্গম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা ঢুকছে। বান্দরবন ও খাগড়াছড়ির অনেক দুর্গম পথ রয়েছে, যেখানে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা সম্ভব হয় না। সেখানকার একটি বিওপি থেকে অন্য বিওপিতে যেতে দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। ওই সব এলাকায় বিওপির সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও বৈঠকে জানান তিনি।
কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের হাত ধরেই বাংলাদেশে ইয়াবা আসা শুরু হয়। এরপর সারাদেশে তা ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেও মাদক-বাণিজ্য ও সেবন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, বৈঠকে মসজিদ, মন্দির ও কবরস্থানের কমিটি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এ প্রসঙ্গে কমিটি সভাপতি বলেন, মসজিদ, মন্দির এবং কবরস্থান কমিটি থেকে প্রকৃত ধর্মপ্রাণ ভালো মানুষ ক্রমে দূরে সরে যাচ্ছেন। মাদক কিংবা সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব পদে আসছেন। ফলে প্রকৃত সৎ মানুষরা সমাজ ও দেশের জন্য অবদান রাখতে পারছেন না।
এসময় তিনি বলেন, দেশের সব মসজিদ, মন্দির, কবরস্থানসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ের কমিটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে গঠন হলে ইতিবাচক ফল আসবে। পরে কমিটির সুপারিশে অন্য একটি বৈঠকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।