ইউক্রেন ইস্যুতে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। সোমবার (১৪ মার্চ) তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রত্যক্ষ নির্দেশে গেল ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ডে রুশবাহিনীর শুরু হওয়া ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ এরই মধ্যে ১৯তম দিনে পৌঁছেছে। রক্তক্ষয়ী সেই অভিযান বন্ধ ও ইউক্রেনে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকরে কী করণীয়— সে বিষয়ক আলোচনাই বৈঠকটিতে প্রাধান্য পাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইউক্রেন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ইউরোপের মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্কের অবস্থান বেশ স্বতন্ত্র। কারণ কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে ইউক্রেন ও রাশিয়া— উভয় দেশের সঙ্গেই তুরস্কের সমুদ্রসীমান্ত আছে। আঙ্কারা একই সঙ্গে কিয়েভ এবং মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবেও বেশ পরিচিত। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর একমাত্র প্রাচ্যদেশীয় সদস্যরাষ্ট্র তুরস্ক।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি বিষয়ক আলোচনার স্থান ও ফ্রেমওয়ার্ক নির্মাণে ইউক্রেন তুরস্ক ও ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে বলে রবিবার জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। অবশ্য গত সপ্তাহেই তুরস্কের আনতালিয়ায় এই ইস্যুতে দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেছিল আঙ্কারা।
এদিকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে জার্মানির চ্যান্সেলর পদে আসীন হওয়ার পর এবারই প্রথমবার আঙ্কারায় সফরে গেলেন ওলাফ শুলজ।
শীর্ষ দুইনেতার এই বৈঠকে ইউক্রেন ছাড়াও তুরস্ক ও জার্মানির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বিষয়ে আলোচনা হবে বলে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০০৫ সাল থেকে ইইউর সদস্য পদের জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছে তুরস্ক। এক্ষেত্রে তাদের প্রধান ভরসার দেশ জার্মানি। দেশটির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যানজেলা মের্কেল এর আগে একাধিকবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পদের জন্য তুরস্ককে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন।