ইউরোপ বুরো চীফ মোহাম্মদ মেসবাহ্ উদ্দিন আলাল বিশেষ প্রতিবেদনে বিস্তারিত।
ইতালির প্রথম রাজধানী তরিনো সিটিতে প্রতি বছরের মত বছরের প্রথম দিন ১ লা জানুয়ারি তরিনো বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দারুস সালাম জামে মসজিদ আয়োজনে ওয়াজমাহফিল মধ্যে দিয়ে নতুন মসজিদ উদ্ভোদন করেন।
তরিনো ইতালি উত্তর -পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি অন্যতম বৃহত্তর শহর।
স্থানীয় তরিনো Centro নিকটবর্ত্তী এর সুবিশাল হলরুলে তরিনো বসবাসরত সকল মুসলিমানদের উপস্থিতিতে বাঙালি কমিউনিটির সকলের উপস্থিতে ওয়াজমাহফিল ও উদ্ভোদন অনুষ্ঠানে ছিল অত্যন্ত উপভোগ্য ও জাকজমকপূর্ণ ছিল।
তোরিনো দারুস সালাম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নামে চালু হয় এ মসজিদটি।
ইতালীয় প্রশাসন কর্তক অনুমোদিত বাংলাদেশী তত্বাবধানে ইতালী তরিনো সবচেয়ে বড় এই মসজিদটি ৪০০ স্কোয়ার মিটার আয়তনে একসাথে অনেক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে।
এখানে মহিলাদের আলাদা জায়গায় নামাজ আদায় করার সুব্যবস্থা থাকবে।
তবে তরিনো দারুস সালাম জামে মসজিদটি এখনো সম্পূর্ণ রুপে সম্পন্ন হয়।
মসজিদ কর্তপক্ষ জানান, সম্পূর্ন কেনা এই মসজিদের কাজ শেষ হয়েছে।
উক্ত ওয়াজমাহফিল ও উদ্ভোদন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মোহাম্মদ ইউনুস সাহেব পরিচালনা করেন মাওলানা মফতি আল আমীন সাহেব।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বৃটিশ ও ইউরোপে সুনামধন্য আলেম, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হয়রত মাওলানা মুফ আবদুল মুনতাকিম (লন্ডন)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিতি ছিলেন রাখেন হজরত মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমেদ ( লন্ডন), হযরত মাওলানা আশরাফ ইমাম খতীব ইতালি মিলানো, আলহাজ্ব হাফিজ কারী সালা্হউদ্দিনের ইমাম ও খতীব বুলজানো, হযরত মাওলানা মুফতি আবদুল আহাদ ইমাম ও খতীব জেনেবা।
প্রচুর সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান মসজিদের প্রথম দিন নামাজ আদায় করেন এবং আল্লাহর ঘর নির্মানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এবং অনেকেই ওয়াদা করেন পরবর্তিতে মুসল্লিদের আল্লাহ দরবারে সিজদা দেয়া জায়গা করে দেয়ার জন্য তারা সব সময়ই পাশে থাকবে।
মসজিদ উদ্বোধনীতে কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ কমুনের কতৃপক্ষ এবং জায়গার বিক্রয়দাতা উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলেই পূর্নাঙ্গ এই মসজিদ নির্মানে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
তরিনো দারুসসালাম জামে মসজিদের সভাপতি বলেন, প্রতিকূল অবস্থাতে সকলের সহযোগিতায় নামাজ এই স্থানটুকু যেন মহান আল্লাহ তায়ালা মসজিদ হিসাবে কবুল করে নেন। পরবর্তিতে এ রাতের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন এবং মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
মসজিদে এশার নামাজের পর থেকেই রাতব্যাপী ইবাদত, বন্দেগি, ওয়াজ মাহফিল, জিকির ও মিলাদের পর বাদ ফজর দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মার জন্য আল্লাহর রহমত কামনায় মোনাজাতের মধ্য দিয়ে পবিত্র লাইলাতুল বরাতের সমাপ্তি হবে।