ওমানকে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপে শুভসূচনা করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। মাঝের দুই ম্যাচ উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেলেও থাইল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবার যুব বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। যা বাংলাদেশ হকির ইতিহাসে সর্বোচ্চ অর্জন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) পঞ্চম থেকে অষ্টম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ৭-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ন্যূনতম ষষ্ঠ হওয়া নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। পঞ্চম হওয়ার জন্য এখন দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের মধ্যকার দলের মধ্যে একটি দলের বিপক্ষে খেলতে হবে।
এদিন ওমানের মাস্কটে বাংলাদেশের দাপট ছিল দেখার মতো। বিল্ডআপ খেলে একের পর এক গোল করেছেন হাসান-জয়রা। ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিততে তাদের সেভাবে কোনও বেগই পেতে হয়নি।
ম্যাচের তিন মিনিটে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। মোহাম্মদ জয়ের কোনাকুনি হিটে গোলকিপার পরাস্ত হন। তিন মিনিট পর ব্যবধান হয় দ্বিগুণ। পেনাল্টি কর্নার থেকে আমিরুল ইসলামের জোরালো হিটে গোলকিপার কিছুই করতে পারেননি। আনন্দে মাতে লাল-সবুজ দলের খেলোয়াড়রা।
১৬ মিনিটে বাংলাদেশ তৃতীয় গোলের দেখা পায়। মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ পোস্টের একদম সামনে থেকে আলতো পুশে জড়িয়ে দেন পোস্টে। থাইরা মাঝে মধ্যে আক্রমণে উঠে গোল করতে চেষ্টা করে। তবে ৬০ মিনিটের ম্যাচে দুই গোলের বেশি করতে পারেনি।
গোলকিপার নয়ন আজও দারুণ খেলেছেন। এ ছাড়া রক্ষণভাগও দিয়েছে পরীক্ষা। ৩০ মিনিটে থাইল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ হিসেবে এক গোল করতে সমর্থ হয়। টানা দ্বিতীয় পেনাল্টি কর্নার থেকে চুয়েমকে কৃস্টানা গড়ানো হিটে ব্যবধান কমান।
তৃতীয় কোয়ার্টারের চার মিনিট পর আবারও গোলের ধারায় ফেরে বাংলাদেশ। সতীর্থের পাসে মোহাম্মদ হাসান রিভার্স হিটে জাল কাঁপান। ৩৫ মিনিটে আবার থাইদের দাপট। পেনাল্টি কর্নার থেকে ফুমি কৃষ্টানা দারুণ এক হিটে স্কোরলাইন ৪-২ করেন। দুই মিনিট পর পঞ্চম গোল করেন মোহাম্মদ খান।
৩৯ মিনিটে হয়েছে ষষ্ঠ গোল। মোহাম্মদ জয় রিভার্স হিটে দলকে ষষ্ঠ গোল এনে দেন। ৪৮ মিনিটে আক্রমণ থেকে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সপ্তম গোল করে দলকে বড় জয় এনে দিতে সহায়তা করেন।