রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে হলে কৃষি, শিল্প ও সেবাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি অপরিহার্য।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি সকল শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) উদ্যোগে আজ রবিবার ২ অক্টোবর সারা দেশে ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, এ বছর জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উৎপাদনশীলতা’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ‘রূপকল্প ২০৪১’ ও ‘জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০’ সামনে রেখে টেকসই অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে মানুষের চিন্তার জগৎ, জীবনধারা থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন, সেবা প্রদানসহ সকল ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসছে। শিল্প বিপ্লবের ব্যাপকতা, প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিকতা ও সংশ্লিষ্ট পরিবর্তন আত্তীকরণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সঠিক নীতি ও পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
‘আমাদের জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এ লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালন করার মাধ্যমে সাধারণ জনগণের নিকট উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব যথাযথভাবে তুলে ধরা সম্ভব হবে।
তিনি ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।