মহান বিজয় দিবস আজ। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন আজ। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন আজ। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন আজ। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সেই হিসাবে বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তির দিন আজ। ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের কথা, কত বীরত্ব ও তাদের অসামান্য আত্মত্যাগের কথা।মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে জয় লাভের এই মাসটিকে আমরা বড় আবেগের, আনন্দ ও বেদনা নিয়ে উদযাপন করি। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে এ বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল ।ছিনিয়ে আনতে ৩০ লক্ষ দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা শাহাদতবরণ করেছেন। ইজ্জত লুন্ঠন হয়েছে অসংখ্য মা-বোনের। সারাজীবনের জন্য পংঙ্গুত্ব বরণ করেছেন অগণিত মুক্তিযোদ্ধা। সাগরসম রক্ত ও লাশের পাহাড় পেড়িয়ে এদেশে এসেছে স্বাধীনতা। স্বাধীনতা কারো দয়ার দান নয়। বহু রক্ত দিয়ে কেনা আমাদের স্বাধীনতা।
আজ বাংলাদেশ স্বাধীন তবে এই স্বাধীন দেশ এনে দিতে যার অবদান অতুলনীয় তিনি বাঙালি জাতির রাখাল রাজা বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ।তার প্রচেষ্টা ও যোগ্য নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে । তবে এই স্বাধীনতার স্বাদকে খুব বেশিদিন পেতে দেয়নি বাংলার কাপুরুষরা ।স্বাধীনতার ৪ বছর যেতে না যেতেই বাংলার কাপুরুষ রূপে শয়তানেরা বাংলাদেশের স্থপতিকে সপরিবারে হত্যা করেন । তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা । তার হতেই আজ দেশ নিরাপদ।বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন । তার প্রমাণস্বরূপ স্বাধীনতার ৫১ বছর বছরে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাচ্ছে ।তাই বলতে চাই এ বিজয় বাঙালির এ বিজয় জয় বঙ্গবন্ধু ।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয় দেশরত্ন শেখ হাসিনা ।