প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক হাজার নারীকে ৫ কোটি টাকার অনুদান দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে নির্বাচিত প্রত্যেক নারী উদ্যোক্তাকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও শেরে-বাংলা নগরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি) এর হল অব ফেইমে এক অনুষ্ঠানে নারী উদ্যোক্তাদের হাতে এই অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শিরীন শারমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নারী ক্ষমতায়নের অগ্রদূত। তিনি সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে নারী ক্ষমতায়ন, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জেন্ডার সমতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বা রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তারই নিরলস পরিশ্রম এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন চিন্তাধারা, সংবেদনশীলতা এবং সকল কিছুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নারীরা দৃশ্যমানভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছে।
সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশও তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ সুবর্ণ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সবশেষে তিনি তথ্যপ্রযুক্তিকে আমাদের কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নখদর্পণে নেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের উন্নয়নের জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে এর সর্বাত্নক ব্যবহার নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জুনা্লেইদ আহমেদ পলক বলেন, নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়নে নারীর আর্থিক সক্ষমতার গুরুত্ব তার লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন বঙ্গবন্ধু। আর তা বাস্তাবায়ন করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নারী ক্ষমতায়নের ও কর্ম সৃজনের অগ্ৰদূত। তাঁর গৃহীত নানা উদ্যোগ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ই-ক্যাব করোনায় ই-কমার্সকে লাইফ লাইনে পরিণত করেছেন। তাই আগামীতে প্রযুক্তির মাধ্যমে ১৮ বছরের নিচের কিশোরী উদ্যোক্তাদেরও এই অনুদান দেয়ার ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সমাজের নারীদের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে না পারলে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। পলক আরো বলেন, আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে “হার পাওয়ার” প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে চার বিভাগে ৫ মাসের প্রশিক্ষণ দিয়ে ২৫ হাজার স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এন এম জিয়াউল আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব শমী কায়সার, ই-ক্যাবের সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা। সবশেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্মসচিব মো: আলতাফ হোসেন।