ছয় বছর পর একসঙ্গে আটবারের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার ঘোষণা করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। আগামী ১১ মে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য মনোনীত বিশিষ্ট খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকদের এই পুরস্কার দেওয়া হবে।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পুরস্কারের জন্য মনোনীত ৮৮ জনের মধ্যে ৮ জনকে দেওয়া হবে মরণোত্তর পুরস্কার। ক্রীড়াক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদান রেখেছেন এমন খেলোয়াড় ও সংগঠকদের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে।
শেষবার ২০১৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। সেবার ২০১২ সাল পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনন্য অবদান রাখার জন্য ১৯৭৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। ছয় বছর নিয়মিত দেওয়ার পর ১৯৮২ সাল থেকে দীর্ঘ দিন স্থগিত ছিল। পরে ১৯৯৬ সাল থেকে আবার এই পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। পুরস্কার প্রাপ্তরা একটি স্বর্ণপদক ও এক লাখ টাকার অর্থ পুরস্কার পেয়ে থাকেন।
যাঁরা পাচ্ছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার
২০১৩: মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু (সংগঠক), মো. ইলিয়াস হোসেন (ফুটবল), খালেদ মাহমুদ সুজন (ক্রিকেট), মো. শাহজাহান মিজি (সাঁতার), রোকেয়া বেগম খুকী (অ্যাথলেটিক্স), বেগম জ্যোৎস্না আক্তার (অ্যাথলেটিক্স), মুনিরা মোর্শেদ খান (টেবিল টেনিস), ভোলা লাল চৌহান (স্কোয়াশ), কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ (মরণোত্তর-সংগঠক), উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ (সংগঠক) ও সামশুল হক চৌধুরী (সংগঠক)।
২০১৪: ইমতিয়াজ সুলতান জনি (ফুটবল), মো. এহসান নাম্মি (হকি), মো. সামছুল ইসলাম (সাঁতার), সাঈদ-উর-রব (অ্যাথলেটিক্স), মিউরেল গোমেজ (অ্যাথলেটিক্স), বেগম কামরুন নেছা (অ্যাথলেটিক্স), মো. জোবায়েদুর রহমান রানা (ব্যাডমিন্টন), শামসুল বারী (মরণোত্তর-সংগঠক), মো. ফজলুর রহমান বাবুল (সংগঠক), সৈয়দ শাহেদ রেজা (সংগঠক) ও মো. এনায়েত হোসেন সিরাজ (সংগঠক)।
২০১৫: জুয়েল রানা (ফুটবল), বরুন বিকাশ দেওয়ান (ফুটবল), ফারহাদ জেসমীন লিটি (অ্যাথলেটিক্স), বেগম রেহানা জামান (সাঁতার), শিউলী আক্তার সাথী (ব্যাডমিন্টন), খাজা রহমতউল্লাহ (মরণোত্তর-সংগঠক), মো. আহমেদুর রহমান বাবলু (সংগঠক), ড. শেখ আবদুস সালাম (সংগঠক) ও মাহতাবুর রহমান বুলবুল (সংগঠক)।
২০১৬: খন্দকার রকিবুল ইসলাম (ফুটবল), আরিফ খান জয় (ফুটবল), সুলতানা পারভীন লাভলী (অ্যাথলেটিক্স), কাজী হাবিবুল বাশার সুমন (ক্রিকেট), মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান (সাঁতার), কাজল দত্ত (ভারোত্তোলন),শামীম-আল-মামুন (ভলিবল), জালাল ইউনুস (সংগঠক), মো. তোফাজ্জল হোসেন (সংগঠক), আব্দুর রাজ্জাক (মরণোত্তর-সংগঠক), তাবিউর রহমান পালোয়ান (সংগঠক), লে. কর্ণেল (অব.) এ কে সরকার (সংগঠক) ও জেড. আলম (মরণোত্তর-রেফারি)।
২০১৭: আবু ইউসুফ (ফুটবল), মাহাবুব হারুন (হকি), রহিমা খানম যুথী (অ্যাথলেটিক্স), মো. সেলিম মিয়া (সাঁতার), শাহরিয়া সুলতানা সুচি (ভারোত্তোলন), ওয়াসিফ আলী (বাস্কেটবল), আওলাদ হোসেন (সংগঠক), শেখ বশির আহমেদ মামুন (সংগঠক), আসাদুজ্জামান কোহিনুর (সংগঠক), হাজী মো. খোরশেদ আলম (সংগঠক) ও এটিএম শামসুল আলম আনু (মরণোত্তর-সংগঠক)।
২০১৮: কাজী আনোয়ার হোসেন (ফুটবল), জ্যোৎস্না আফরোজ (অ্যাথলেটিক্স), মীর রবীউজ্জামান (জিমন্যাস্টিক্স), মো. আলমগীর আলম (হকি), নিবেদিতা দাস (সাঁতার), শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর (সংগঠক), রফিক উল্যা আখতার (সংগঠক ), মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (সংগঠক) ও তৈয়েব হাসান সামছুজ্জামান (সংগঠক)।
২০১৯: টুটুল কুমার নাগ (হকি), দিপু রায় চৌধুরী (ক্রিকেট), মাহফুজা রহমান তানিয়া (সাঁতার), ফারহানা সুলতানা শীলা (সাইক্লিং), মাহবুবুর রব (ব্যাডমিন্টন), তানভীর মাজহার তান্না (সংগঠক), কাজী নাবিল আহমেদ (সংগঠক), ইন্তেখাবুল হামিদ (সংগঠক), অরুণ চন্দ্র চাকমা (সংগঠক), লে. জে. মইনুল ইসলাম (অব.) (সংগঠক) ও সাদিয়া আক্তার ঊর্মি (টেবি টেনিস)।
২০২০: শহীদ লে. শেখ জামাল (মরণোত্তর-সংগঠক), মো. মহসিন (ফুটবল) মাহবুবুল এহসান রানা (হকি), আবদুল্লাহ আল রাকিব (দাবা), বেগম নিলুফা ইয়াসমিন (অ্যাথলেটিক্স), আবদুল কাদের স্মরণ (ব্যাডমিন্টন), আফজালুর রহমান সিনহা (মরণোত্তর-ক্রিকেট) ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম (সংগঠক)।