বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের উন্নয়ন করতে হলে ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাক হানাদার বাহিনীর চালানো ধ্বংসলীলার জন্য অবশ্যই দেশটিকে ক্ষমা চাইতে হবে। মদিনায় মসজিদে নববিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই শর্ত জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
চলতি বছরের হজের সময় সৌদিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এম. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির। এক টুইটবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা।
সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮ টা ৫৬ মিনিটে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ছবি টুইট করেছেন সালমান এফ রাহমান। সেই ছবিতে মদিনার মসজিদে নববিতে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এবং তাকে একসঙ্গে দেখা গেছে।
টুইটবার্তায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘মসজিদে নববিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো। এর আগে সর্বশেষ যখন আমাদের দেখা হয়েছিল, তখন আমার বয়স ছিল ১২ বছর। শৈশবের অনেক স্মৃতি আমরা রোমন্থন করলাম। সাক্ষাতে আমি তাকে বলেছি, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ঘটনার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া জরুরি।’
তবে সালমান এফ রহমানের টুইটবার্তার প্রায় ৭ ঘণ্টা আগেই টুইটারে নিজের ‘বাল্যবন্ধু’র সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপারটি জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ২টা ৪১ মিনিটে নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে দু’টি ছবি টুইট করেন আরিফ আলভি। ছবি দু’টিতে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে তাকে হাস্যোজ্জল অবস্থায় দেখা গেছে।
ছবির ক্যাপশনে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মক্কা, মদিনা ও মিনা এবং রওজা-ই রাসুলে (মসজিদে নববি) বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। চমৎকার ছিল সেসব সাক্ষাৎ।’
‘ছবিতে সাদা পোশাকে যাকে দেখা যাচ্ছে— তিনি আমার বাল্যবন্ধু সালমান এফ রহমান। বর্তমানে সালমান বাংলাদেশের এমপি এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। ষাট বছর পর আমাদের সাক্ষাৎ হলো। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে আকস্মিক এই সাক্ষাতের জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা।’