মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একটি ব্যক্তিগত অফিস থেকে তার ভাইস-প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ের কয়েকটি গোপনীয় সরকারি নথি পাওয়া গেছে। সোমবার হোয়াইট হাউসের একজন আইনজীবী জানিয়েছেন, নথিগুলো নভেম্বরে ওয়াশিংটনে বাইডেনের ব্যক্তিগত অফিস থেকে তার আইনজীবীরা আবিষ্কার করেছিলেন। যেগুলো জাতীয় আর্কাইভসে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বাইডেনের এক আইনজীবী জানান, নভেম্বরে ওয়াশিংটনের পেন বাইডেন সেন্টার ফর ডিপ্লোম্যাসি অ্যান্ড গ্লোবাল এনগেজমেন্টে একটি তালাবদ্ধ আলমারি থেকে প্রায় ১০টি ফাইল পাওয়া যায় এবং আমরা সেগুলো জাতীয় আর্কাইভসে হস্তান্তর করেছি।
সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, এফবিআই পেন বাইডেন সেন্টারে পাওয়া গোপন নথির তদন্ত করছে। এছাড়াও মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড শিকাগোর অ্যাটর্নিকে শ্রেণীবদ্ধ নথিগুলো পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টির সাথে পরিচিত একটি সূত্র সিবিএস নিউজকে বলেছে, উদ্ধার হওয়া নথির মধ্যে পারমাণবিক গোপনীয়তা ছিল না এবং অন্যান্য অশ্রেণীবদ্ধ কাগজপত্র সহ একটি বাক্সে একটি ফোল্ডারে রাখা হয়েছিল।
বাইডেনের বিশেষ কৌঁসুলি রিচার্ড সাউবার সোমবার সিবিএস-কে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঠিক আগে অফিস খালি করার সময় বাইডেনের ব্যক্তিগত অ্যাটর্নিরা নথিগুলো আবিষ্কৃত করেছিল।
বাইডেন ২০১৭ থেকে ২০২০ পর্যন্ত হোয়াইট হাউস থেকে প্রায় এক মাইল দূরে অবস্থিত পেন বাইডেন সেন্টার অপ্রশাসনিক কাজের জন্য ব্যাবহার করতেন।
সাউবার আরও বলেন, সেই নথিগুলোর আবিষ্কারের পর থেকে, রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত অ্যাটর্নিরা ওবামা-বিডেন প্রশাসনের রেকর্ডগুলি যথাযথভাবে দখলে আছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য একটি প্রক্রিয়ায় [জাতীয়] আর্কাইভস এবং বিচার বিভাগের সাথে সহযোগিতা করেছেন।
এদিকে বাইডেনের পূর্বসূরি, ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যিনি দায়িত্ব ছাড়ার পরে গোপনীয় নথি রাখার জন্য তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছেন।
ট্রাম্প সোমবার তার সোশ্যাল মিডিয়া সাইট, ট্রুথ সোশ্যাল-এ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কবে এফবিআই জো বাইডেনের অনেক বাড়িতে, এমনকি হোয়াইট হাউসেও অভিযান চালাবে?
এছাড়াও হাউস ওভারসাইট কমিটির নতুন রিপাবলিকান চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান জেমস কমার সোমবার বাইডেনের কাগজপত্র পরিচালনা বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এটি আরও উদ্বেগের বিষয় যে বিচার বিভাগের মধ্যে একটি দ্বি-স্তরের বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। এখন দেখার বিষয় তারা কীভাবে রিপাবলিকান বনাম ডেমোক্র্যাটদের সাথে আচরণ করে এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট বনাম বর্তমান প্রেসিডেন্টের সাথে কীভাবে আচরণ করে।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স