পিএসজিতে কিলিয়ান এমবাপের চুক্তির মেয়াদ শেষ আসছে জুনে। গুঞ্জন রয়েছে, চুক্তি নবায়ন না করে রিয়ালেই নাম লেখাবেন ফরাসি তারকা। যদিও গেল দুই মৌসুমে এমনটা শোনা গেলেও শেষে তা আর সত্য হয়নি।
তবে এই ফরাসি তারকার একাধিক ঘনিষ্ট সূত্র বলছে, বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই রিয়াল মাদ্রিদে খেলার ইচ্ছে কিলিয়ান এমবাপের। তবে এতোদিন না হলেও এবার হয়তো তার সে ইচ্ছে পূরণ হতে যাচ্ছে।
এরইমধ্যে স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, ফরাসি তারকাকে ফরোয়ার্ড হিসেবে দলে চাইছেন রিয়াল। ফলে ক্লাবটির হয়ে ইউরোপের সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড় হতে যাচ্ছেন এমবাপে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম কাদেনা এসইআর জানিয়েছে, এমবাপে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে রিয়ালে এলেও তার জন্য ক্লাবটিকে বেশ ভালো পরিমাণ অর্থই খরচ করতে হবে। এমবাপে নাকি রিয়ালের কাছ থেকে উচ্চ বেতনের পাশাপাশি মোটা অঙ্কের সাইনিং বোনাসও চান।
কাদেনা এসইআর বলছে, এমবাপে চান ইউরোপের সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড় হতে। যে কারণে তিনি মৌসুমপ্রতি পাঁচ কোটি ইউরো বেতন দাবি করছেন। পাশাপাশি বিশ্বকাপজয়ী এ ফরাসি তারকা ১২ কোটি ইউরো সাইনিং বোনাস নিতে চান রিয়ালের কাছ থেকে। এ ছাড়া বেতনের বাইরে এমবাপ্পে নাকি ইমেজ স্বত্বের জন্য বাড়তি বোনাসও পেতে চান ক্লাবটির কাছ থেকে।
এদিকে এখনো চূড়ান্ত ঘোষণা না এলেও এমবাপে নাকি গ্রীষ্মের দলবদলে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে পিএসজি ছেড়ে রিয়ালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। রিয়ালও এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে তাকে পাওয়ার ব্যাপারে দারুণভাবে আত্মবিশ্বাসী।
অন্যদিকে পিএসজিও অবশ্য এখনই হাল ছাড়তে নারাজ। চূড়ান্ত ঘোষণা আসার আগ পর্যন্ত, এমবাপেকে ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে চায় প্যারিসের এই ধনী ক্লাবটি।
এক অনুষ্ঠানে লা লিগা সভাপতি জাভিয়ের তেবাস এই ব্যাপারে তার মতামত তুলে ধরে বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগে আমি বলেছিলাম এটি (এমবাপের রিয়ালে যাওয়ার সম্ভাবনা) প্রায় ৫০ ভাগ ছিল, এখন এটা আরও বেশি। ৫৫-৬০ ভাগ সম্ভাবনা? হ্যাঁ আমি তাই মনে করি। একেকটা দিন যাচ্ছে এবং পিএসজির সাথে সে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর না করায় এই শতাংশটা বাড়ছে।
২০২২ সালের গ্রীষ্মে রিয়ালে যোগ দেওয়ার খুব কাছাকাছি গিয়েও শেষ মূহুর্তে পিএসজিতে দুই বছরের চুক্তি করেন এমবাপে। মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নরা চেষ্টা চালিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাতে সম্মতি জানাননি বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা।