নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বঘোষিত বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি মি. এলবার্ট পি’ কষ্টার বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ও মনগড়া বলে প্রত্যাখান করেছেন বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও ও মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া। মঙ্গলবার সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক স্বপন রোজারিও স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৩ মে, ২০২৪ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ১৪ দলের নেতৃবৃন্দের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে স্বঘোষিত বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি এলবার্ট পি’ কষ্টার বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ও মনগড়া বলে প্রত্যাখান করেছেন বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও ও মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া। বিএনপি-জামায়াতের মদদপুষ্ট এলবার্ট পি’ কষ্টা বিগত সময়েও সমাজের নানা ধরনের বিভক্তি সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন। এখনও তিনি তা অব্যাহত রেখেছেন। ২০০২ খ্রীষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের কাউন্সিল অধিবেশনে কোন শাখা সংগঠনের কাউন্সিলর হতে না পেরে তিনি স্বঘোষিত খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন তৈরী করেছিলেন। সমাজের কোন কাজ তিনি করেন না, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলই তার একমাত্র লক্ষ্য। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠিত স্বধীনতাযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। কে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছেন, কে আমাদের পক্ষে কাজ করেছেন তা আমাদের জানা আছে। খ্রীষ্টান সম্প্রদায় দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, শহীদ হয়েছেন এবং পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাঁরা এদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িত চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী এই সম্প্রদায় দেশীয় কিংবা আন্তর্জাতিক যে কোন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অতীতে ছিলো, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের বিবৃতিতে।