নতুনত্বের সঙ্গে উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষ হয়ে গড়ে উঠতে দক্ষ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বুয়েট ভিসি প্রফেসর ড. মো. হাবিবুর রহমান। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর দিয়াবাড়িতে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ফেস্টিভ্যালের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোঃ. হাবিবুর রহমান বলেন, দক্ষ প্রকৌশলীদের জন্ম সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে। মানব সভ্যতার উন্নয়ন প্রসারের পাশাপাশি সমাজের পেশাজীবী স্তরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের পদচারণা অসীম। শিক্ষার্থীদের মাঝে টিম ওয়ার্ক কমিউনিকেশন বৃদ্ধি জরুরি।
বুয়েট ভিসি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা রয়েছে। তাই এখন থেকে দক্ষ হয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরুদায়িত্ব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদেরই পালন করতে হবে।
এ সময় পদ্মা সেতুর চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা তুলে ধরেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পদ্মা বহুমুখী সেতুর ভূমিকা ও গুরুত্ব রয়েছে অনেক। এই সেতু নির্মাণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা কঠোর শ্রম দিয়েছেন।
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রসারে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টা রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নির্দেশনা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন তিনি। পরে সদ্য প্রয়াত ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও দেশের গুণী অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলি খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিস সেক্রেটারি ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী। তিনি বলেন, করোনা মহামারির পরে এই উৎসবটি শিক্ষার্থীদের দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার তৈরিতে নতুনভাবে উদ্যমী হতে সহায়তা করবে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ট্রেজারার মোর্শেদা চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ এর ডিন অধ্যাপক এ ফ ম আবদুর রউফ।
সভা শেষে উৎসবের তিনটি ইভেন্ট যথাক্রমে একাডেমিক, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।
জমকালো এই উৎসবে পারফর্ম করেছে নতুন প্রজন্মের জনপ্রিয় বাংলা রক ব্যান্ড ‘অ্যাশেজ। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল।