জনশক্তি রপ্তানির কোনো লাইসেন্স নেই। বিভিন্ন ট্যুর ও ট্রাভেলস এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে অবৈধভাবে ভ্রমণ ভিসায় লোক পাঠানো হতো বিভিন্ন দেশে। আর এভাবেই প্রায় পাঁচ শতাধিক লোকের কাছ থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকা হাতিয়েছে মানবপাচার চক্র।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর রামপুরা ও হাতিরঝিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ এ মানবপাচার ও প্রতারক চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এ চক্রের মূলহোতা কামরুল (৪২)। এ মানবপাচার চক্রের বাকিরা হলেন- খালেদ মাসুদ হেলাল (৩৬), তোফায়েল আহম্মেদ (৩৮) ও মো. জামাল (৪২)।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ৩ অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।
র্যাব-৩ জানায়, কামরুলের লেখাপড়া নবম শ্রেণি পর্যন্ত। নির্দিষ্ট কোনো পেশা না থাকলেও প্রতারণা এবং মানবপাচার তার নেশা। ২০১৯ সালে ভ্রমণ ভিসায় দুবাই যান। মানবপাচারের অর্থে দুবাইয়ের রেসিডেন্স ভিসা লাভ করেন। পরে প্রাইভেটকার চালিয়ে অর্থ উপার্জন করতেন।
করোনার সংকট শুরু হলে গাড়িটি বিক্রি করে ২০২১ সালে দেশে ফেরেন। পুনরায় জড়িয়ে পড়েন প্রতারণা এবং মানবপাচারে।জনশক্তি রপ্তানির কোনো লাইসেন্স নেই কামরুলের। বিভিন্ন ট্যুর ও ট্রাভেলস এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে অবৈধভাবে ভ্রমণ ভিসায় বিভিন্ন দেশে লোক পাঠান তিনি। এজন্য জনপ্রতি হাতিয়ে নেন ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। এভাবে প্রায় পাঁচ শতাধিক লোকের কাছ থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকা হাতিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ৩ অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতারিত কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৩ জানতে পারে, রামপুরা এলাকায় একটি মানবপাচার ও প্রতারক চক্র মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া ভিসা ও টিকিট সরবরাহ করে। এর মাধ্যমে বিদেশ গমনে ইচ্ছুক বেকার যুবক যুবতীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদের সর্বস্বান্ত করছে।
সহজ সরল বিদেশ গমনে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা বিমানবন্দরে প্রদর্শনের পর ভিসা ও টিকিট জাল হওয়ায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাদের বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়।