কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঝাড়ুদারের কাজ করতে হবে কারাবন্দী যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়াকে।
কারাসূত্রে জানা যায়, জেল বিধি অনুযায়ী বন্দী মহিলাদের জন্য কাজ করা বাধ্যতামূলক। কুমিল্লা কারাগারে ঝাড়ু দেওয়া এবং নকশি কাঁথা সেলাই এই দুটি কাজই রয়েছে। ফলে বন্দিদের এ দুটি কাজের একটি করতে হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে নকশি কাঁথার কাজ সবাই পারে না। তাই শুরুতে ঝাড়ুদারের কাজই করতে হয়। তাই পাপিয়াকে ঝাড়ুদারের কাজ করতে হবে।
জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কুমিল্লা কারাগারটি পুরুষদের। এ কারাগারের একটি অংশে ছোট পরিসরে মহিলা কারাগারে বন্দীদের রাখা হয়। সীমিত স্থানে পাপিয়াকে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গেই সাধারণ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। ইচ্ছে করলেই তিনি পুরো কারাগারে ঘুরতে পারবেন না।
এর আগে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে এক হাজতিকে নির্যাতনের অভিযোগে শামীমা নুর পাপিয়াকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে কুমিল্লা পাঠানো হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, পাপিয়া গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে প্রায় ৪০ মাস ধরে বন্দি আছেন। ২৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে জেল বিধি অনুযায়ী পাপিয়াকে ‘রাইটার’ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি রুনা লায়লা নামে এক হাজতিকে সম্প্রতি নির্যাতন করেন। তার কাছ থেকে টাকা পয়সা লুট করে নেন।
এ বিষয়ে রুনার ছোট ভাই জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন। পরে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে সোমবার তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানে হয় বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।