কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: বর্তমান সরকারের পূর্ণ মেয়াদ শেষে নির্বাচন হলে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো ঢের সময় বাকি। তবে এত দূরের ভোটকে সামনে রেখে সরগরম হয়ে উঠছে দেশ। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি হলেও কুড়িগ্রাম জেলায় তার বিপরীত। উত্তরের এ জেলায় অনেকটাই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দখলে। বিএনপি’র দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে অনেকটাই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। বিএনপি নেতারা এমপি প্রার্থী হবেন কি না সে ব্যাপারও সন্ধিহান সাধারণ ভোটাররা। মূলত এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা।
ক্ষমতাশীল দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। কিছু এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে নেমে চালাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা।
এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সম্মানিত সদস্য ও জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক (সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক) আলহাজ্ব রুহুল আমিন দুলাল জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দলীয় ও সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহবান জানাচ্ছেন। সেই সাথে জেলা যুবলীগের সমস্ত ইউনিটকে সুসংগঠিত করার লক্ষে তৃনমুল নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করছেন।
এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল বলেন, “কুড়িগ্রাম সদর আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই আসনে নৌকার কোন বিকল্প নেই। সারা বাংলাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছেন সেই উন্নয়নের চিত্রগুলো সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে এবং আমি সেটিই করছি।”
অপরদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, “আগামী নির্বাচন নিয়ে এখনও তাদের তৎপরতা শুরু হয়নি। তারা শুধু দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।”
জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ’র পাশাপাশি দলের অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারাও মাঠে নেমে পড়েছেন। সে সুবাদে তৃণমূলে দলগুলোর রাজনীতিতে বইতে শুরু করেছে আগাম নির্বাচনী হাওয়া। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যেও আগামী নির্বাচন নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা। তবে জেলার কিছু ইউনিয়নে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা থাকলেও প্রচার বা জনসংযোগের চিত্র এখনো সেভাবে স্পষ্ট হয়ে ওঠেনি।