নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে লক্ষাধিক টাকার ৬ টি গাছ কেটে আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার নাওডাংগা ইউনিয়নের চর গোরকমন্ডল গ্রামের আনন্দ বাজার এলাকায়। এ ঘটনায় ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
ঘটনাস্থল গিয়ে জানা গেছে, ওই এলাকার স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা জবরুলের ছেলে সুলতান (৩৫) এর নেতৃত্বে একই গ্রামের ছ’মিল মালিক মৃত জলি বকসের ছেলে আয়নাল হক(৪৫), আয়নালের বোন জামাই করাতি শুক্কুর আলী (৪৮), করাতির ছেলে আশিকুর রহমান (২৫), ঘোড়ার গাড়ি চালক জফর আলী ও তার ছেলে আঃ কুদ্দুস সহ কয়েকজন যুবক রাতের অন্ধকারে ৬ টি বড় বড় গাছ কর্তন করে। সকাল হওয়ার আগেই গাছের ডালপালা সরিয়ে ফেলে এবং ঘটনাস্থলের পাশেই ওই আয়নাল মিয়ার ছ’মিলে গাছগুলো জমা করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে পরে খবর পেয়ে ছ’মিল থেকে সব গাছ উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, দিনের পর দিন রাস্তার অনেক গাছ কাটার ঘটনা ঘটেই চলেছে। বেশ কয়েকটি মহল সেসব কাজের সাথে জড়িত। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে পারে না। যারা এভাবে সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ করে, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসলে কেউ এরকম অনিয়ম করার সাহস পাবে না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুলতান মাহমুদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গাছ কাটার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই। আমি কিছু জানি না।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য আয়াজ উদ্দিন বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছু জানতাম না। সকালে চেয়ারম্যান মহোদয়ের ফোন পেয়ে বিষয়টি জানতে পারি। পরে ঘটনাস্থল গিয়ে গাছ কাটার ব্যাপারে নিশ্চিত হই। পরে খোঁজ খবর নিয়ে পাশের আয়নাল হকের ছ’মিলে গিয়ে গাছগুলোর সন্ধান মেলে। যারা এই গাছ কাটার সাথে জড়িত আছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি জানান তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান হাছেন আলী জানান, আমরা খবর পাওয়ার পর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। গাছগুলো উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে নির্দেশনা প্রদান করবেন, আমি সে অনুযায়ী কাজ করবো। সরকারি সম্পদ বেআইনি ভাবে বিনষ্টকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে না আসলে পরবর্তীতে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকবে। তাই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।