কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গলায় জোড়া ওড়না পেচানো আফরোজা খাতুন ওরফে পায়রা (৫০) নামের এক বৃদ্ধার মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (৬ মার্চ) সকালে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ডাঁসা গ্রাম থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তি ওই গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের মেয়ে ও স্বামী পরিত্যাক্ত মহিলা ছিলেন।
তবে নিহতের স্বজনদের দাবি, ‘পায়রার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। ও আত্মহত্যাও করেনি। তাঁকে কে বা কাহারা গলায় জোড়া ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাঃসরোধ করে হত্যা করেছে।’
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, নিহত
আফরোজা খাতুন পায়রা প্রায় ৩০ বছর ধরে বাপের বাড়িতে বাস করছে। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে বড় ছিলেন। আজ সকালে বাড়ি থেকে প্রায় ৭০০ মিটার দুরে পুকুরপাড়ে ওপর হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় কৃষক আক্তারুজ্জামান লিটন। পরে লিটন নিহতের ভাই মোহনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ভাইসহ প্রতিবেশীরা তাঁর লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন এবং পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। এসময় নিহতের গলায় জোড়া ওড়না পেচানো ছিল।
নিহতের ভাই মোহন বলেন, ‘ সকালে খবর পেয়ে বোনের লাশ নিয়ে বাড়ি এসেছি। কিভাবে মারা গেছে জানিনা। তাঁর মৃতু রহস্যজনক। ‘
নিহতের চাচাতো ভাই রাকিবুল বলেন, ‘ রাতে ঘরে শুয়ে ছিল। সকালে পুকুরপাড়ে গলায় দুইটি ওড়না পেচানো লাশ পাওয়া গেল। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।
নিহতের ছোটবোন সাহেরা খাতুন বলেন, ‘ আমার বোন সুস্থ ছিল। খুব ভাল ছিল। কারো সাথে শত্রুতা ছিলোনা। ওকে হত্যা করা হয়েছে।’
জানা গেছে, নিহতের মা প্যারালাইসিস রোগী ও বৃদ্ধ। পায়রা তাঁর মার সাথেই রাতে ঘুমাতেন। এবিষয়ে তাঁর অসুস্থ মা বলেন, ‘ সকালে কে যেন পায়রা বলে ডাক ছিল। আর পায়রা চলে গেল। পরে লাশ পেলাম।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘ বৃদ্ধ মহিলার গলায় জোড়া ওড়না পেচানো লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তাঁর মৃত্যু রহস্যজনক। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
ক্যাপশনঃ নিহতের বাপের বাড়ির বারান্দায় রাখা লাশ পরিদর্শন করছেন কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার
ক্যাপশনঃ লাশ উদ্ধারের স্থান পরিদর্শনকালে ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার