দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদকঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে শশুড় ও দেবরের অত্যাচারে গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার নন্দলালপুর ইউনিয়নের উত্তর ভবানীপুর গ্রামে শশুড় নেপাল ও দেবর লিটন জোড় পূর্বক বসতবাড়ির গাছ কেটে দেয়ায় চার সন্তানের জননী শিউলী খাতুন (৩৫) অভিমান করে গলায় ফাঁস দিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে শিউলির স্বামী বকুল জানান, তার বসতবাড়ির জমি নিয়ে তার বাবা ও ছোট ভাই দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি করতো। ঘটনার দিন তার বাবা ও ছোট ভাই জোরপূর্বক তার বাড়ির কিছু গাছ কেটে দেয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী শিউলি প্রতিবাদ করলে তার সাথে বাবা ও ছোট ভাই অসদাচরণ করায় অভিমান করে সে গলায় ফাঁস দেয়। এসময় এলাকাবাসীর সহায়তায় শিউলিকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার শিউলি মারা যান। এই ঘটনায় তিনি কুমারখালী থানায় তার বাবা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করবেন বলে জানান।
বুধবার সরেজমিনে শিউলির শশুড় বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার শশুড় নেপাল শেখ ও দেবর কেউ বাড়িতে নেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায় শিউলি মারা যাবার সংবাদ পেয়ে তারা বাড়ি থেকে পালিয়েছে।