Monday , 20 May 2024
শিরোনাম

কুষ্টিয়ায় হত্যার দায়ে ৬ ডাকাতের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ডাকাতি করার সময় শাজাহান আলী নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার ৮ আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। একই সাথে তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে স্বপন, একই উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের পান্না মৃধার ছেলে নাহারুল, মৃত শমছের প্রামাণিকের ছেলে মকবুল, ওফিল প্রামাণিকের ছেলে শফি, মৃত জলিল প্রামাণিকের ছেলে শাজাহান, খলিল প্রামাণিকের ছেলে আজমল।

রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি আজমল, শাজাহান ও শফি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর পরই তাদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি স্বপন, নাহারুল ও মকবুল বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের শাজাহান আলীর বাড়িতে অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আসামিরা ডাকাতি করে। আসামিরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার এবং বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র লুট করে। এসময় প্রতিবাদ করায় চাইনিজ কুড়ালের উল্টো পিট দিয়ে শাজাহান আলীকে আঘাত করে হত্যা করে আসামিরা। এঘটনায় পরেরদিন ২৮ এপ্রিল নিহত শাজাহান আলীর ছেলে বোরহান উদ্দিন বাপ্পি বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস. আই ফেরদৌস হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির এ আদেশ দেন।

Check Also

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মারা গেছেন

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মারা গেছেন। সঙ্গে তার সফরসঙ্গীরাও। তাদের মধ্যে আর কেউ বেঁচে নেই। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x