কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় রওশনা (৪০) নামে এক নারীকে হত্যার দায়ে দেবরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে এ রায় দেন কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন-দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের পশ্চিম চর রামকৃষ্ণপুর ৮ নম্বর এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মো. শুকুর মালিথা।
রায় ঘোষণার সময় আসামি মো. শুকুর মালিথা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।
আদালত এবং এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের পশ্চিম চর রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল জলিল চৌকিদারের স্ত্রী রওশনা (৪০) ২০১৩ সালের ২০ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ির উঠানে মাটির গর্ত করার সময় আসামি শুকুর মালিথা জলিলের মেয়ে বিথির (৭) কাছে পানি চান।
এ সময় বিথি পানি না দিয়ে চলে গেলে আসামি শুকুর মালিথা বিথিকে অশ্লিল ভাষায় বকাবকি করে। এ সময় বিথির মা রওশনা প্রতিবাদ করলে শুকুরের সঙ্গে রওশনা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এর এক পর্যায়ে আসামি শুকুর মালিথা কোদাল দিয়ে রওশনার মাথার পেছনে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এর পর ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল শেষে মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠান। এ ঘটনায় বাদী হয়ে ২০২০ সালের মার্চ মাসের ২০ তারিখে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রওশনার ভাই আলী আজগর।
এরপর মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর আদালতে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফয়সাল হোসেন। এ মামলায় স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত রায় ঘোষণার দিন সোমবার (৪ জুলাই) ধার্য করেন।