কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ায় মাসুদ রানা (২৫) নামের এক ইজিবাইকের চালক হত্যা মামলায় ১ জনের ফাঁসি ও ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলামের রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় তন্ময় এবং শিপলু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রকিবুল ইসলাম রকিব এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শামীম পলাতক ছিলেন।
কুষ্টিয়া জজ আদালতের পিপি অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাসুদ রানা জুলাই কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার যুগিয়া দর্গাপাড়া এলাকার ইয়ার আলী মালিথার ছেলে। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশার চালক ছিলেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রকিবুল ইসলাম রাকিব (২৭) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উদিবাড়ি কলোনিপাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— একই এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে শামীম (২৬), মিজানুর রহমানের ছেলে তন্ময় (২৮), টালিপাড়া এলাকার কুটি মিয়ার ছেলে শিপলু (৩৪)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৪ সালের ১০ জুলাই মাসুদ রানা রাত ৮টার সময় অটোরিকশা নিয়ে ভেরামারার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পরের দিন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয়দের দেওয়া সংবাদের ভিত্তিত্বে কুষ্টিয়ার ভাগাড়ের মাঠ থেকে মাসুদ রানার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাসুদ রানার বাবা ইয়ার আলী মালিথা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে এবং ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করেন আদালত।
পিপি অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, রায় ঘোষণার সময় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রকিবুল ইসলাম রাকিব এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শামীম পলাতক ছিলেন। তাই বাকি দুই আসামি তন্ময় এবং শিপলুর উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়। পরে কড়া পুলিশি পাহারায় তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।