রাত পোহালেই কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ভোট। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এসপি বলেন, নির্বাচনে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কুমিল্লার নির্বাচনকে সারাদেশের মডেল নির্বাচন হিসেবে উপহার দিতে চাই। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ৩ হাজার ৬০৮ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য নিয়োজিত আছেন। এর মধ্যে ৭৫টি চেকপোস্ট, ১০৫টি মোবাইল টিম, ১২ প্লাটুন বিজিবি, ৩০টি র্যাব টিম, ৫০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আশা করছি, আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারবো। এর জন্য আপনাদের (সাংবাদিক) সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা সবাই নিরলসভাবে এ নির্বাচনে কাজ করবো।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেছেন, আমরা সুষ্ঠু ভোট করার জন্য বদ্ধপরিকর। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্কুলার অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। জেলা প্রশাসক, পুলিশের কর্মকর্তারা সবাই সজাগ থাকবেন। এছাড়া নগরীর প্রবেশপথসহ বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। আমি আশাবাদী, একটি ভালো নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।
কুসিক নির্বাচনে এবারের মেয়রপ্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত (নৌকা প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্যবিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি), নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া), ইসলামী আন্দোলনের রাশেদুল ইসলাম (হাতপাখা) এবং নাগরিক কমিটির কামরুল আহসান বাবুল (হরিণ)। এছাড়া কাউন্সিলর পদে ১০৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বুধবার (১৫ জুন) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ১০৫ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। এ সিটিতে মোট ভোটার দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। তাদের মধ্যে নারী এক লাখ ১৭ হাজার ৯২ এবং পুরুষ এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬।