সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মোট ১৩০টি মামলা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মামলাগুলো করা হয়। এর মধ্যে ১১৯টি হত্যা মামলা ও বাকি মামলাগুলো হত্যাচেষ্টা ও অপহরণের অভিযোগে করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনা আমলের অনেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে।
শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ নেন। এরপর ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশে একের পর এক মামলা করা শুরু হয়। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সাবেক আইজিপি, সরকারি কর্মকর্তাসহ ২৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
মামলার আসামির তালিকায় শেখ হাসিনা ছাড়া তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ (জয়), সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা রয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে।
প্রায় সবগুলো মামলায় অভিযোগ, গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের নির্দেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা–কর্মীরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে নিরীহ ছাত্র–জনতার ওপর নির্বিচার গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে সবাই মারা গেছেন।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম হত্যা মামলা করা হয় ১৩ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায়। ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে মুদি দোকানি আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সবশেষ গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। রাজধানীর রুপনগরে শামীম হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে মামলাটি করেন ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই মো. সম্রাট।
এদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত গণহত্যার অভিযোগে ৮টি মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় জমা পড়েছে।