রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘সংকটজনক’ জানিয়ে দ্রুত তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার আব্দুল্লাহপুর পলওয়েল মার্কেট সংলগ্ন ময়দানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দিয়েছে এবং শর্ত দিয়েছে, বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন না। চিকিৎসা একটি মৌলিক অধিকার। তার চিকিৎসকরা বলছেন, যদি তার সঠিক চিকিৎসা না হয়, তবে তার জীবন বিপন্ন হবে।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা জানে, দেশনেত্রীর হুঁশিয়ারিতে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত মানুষ একত্রিত হয়ে যাবে। তাই তারা তাকে (খালেদা জিয়াকে) শর্ত দিয়েছে যে বিদেশে চিকিৎসা করা যাবে না।
তরুণদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে আমরা যতকিছু আমরা পেয়েছি, সবকিছু এই তরুণদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পেয়েছি। বিগত দিনগুলোতে তরুণদের কারণেই স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছি আমরা। আর আপনাদেরকে নিরপেক্ষ ভোটের জন্য লড়াই করতে হবে।
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনও সময় আছে। বাংলাদেশের মানুষকে রেহাই দেন। অনেক নির্যাতন করেছেন। অনেক সহ্য করেছি। বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য পদত্যাগ করুন।
৭৮ বছর বয়েসী খালেদা জিয়া কিডনি, ফুসফুস, হৃদরোগ ও লিভার জটিলতায় ভুগছেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, বোর্ডের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ম্যাডামের লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে। সেজন্য তাকে দ্রুত বিদেশে উন্নত মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি সেন্টারে পাঠানো দরকার।
সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তি শর্তাবলিতে বিদেশে চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো যাচ্ছে না।