করোনা মহামারিতে নানা প্রণোদনা দেওয়ার পরও খেলাপি ঋণ একবছরে বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে ঋণ ছিল ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। আর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ঋণ বেড়ে হয়েছে ১৩ লাখ ১ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৭ দশমিক ৬৬, গত ডিসেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৯৩।
বুধবার (২ মার্চ) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সবশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গত বছর শেষে ব্যাংক খাতে যে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে, তার মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর খেলাপির পরিমাণ ছিল ৪৪ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। আগের বছর, অর্থাৎ ২০২০ সাল শেষে এ পরিমাণ ছিল ৪২ হাজার ২৯২ কোটি টাকা। আর ২০২০ সালে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ছিল ৪০ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা, গত বছর শেষে যা বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। ২০২০ সাল শেষে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ২ হাজার ৩৮ কোটি টাকা, ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। আর বিদেশি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৪ হাজার ৬১ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ২ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, করোনার কারণে ব্যবসায়ীদের দেওয়া বিভিন্ন ধরনের ছাড় উঠতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। তবে এটাও খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র নয়। প্রকৃতপক্ষে খেলাপি ঋণ আরও কয়েক গুণ বেশি। কারণ, অনেক ব্যাংক ঋণ আদায় না করেও নিয়মিত দেখাচ্ছে।