নাহিদুজ্জামান শয়ন।। কুষ্টিয়া খোকসায় ,ওসমানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান কে অপসারণের দাবিতে খোকসা প্রধান নির্বাহী কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে ঐ স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করে ।
ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলনে যোগ দেয় স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক। এ সময় প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রধান শিক্ষক ঠিকমত স্কুলে আসেনা। স্কুলে পর্যাপ্ত ফ্যান নেই,টিউবয়েল নেই।ছাত্রীদের সাথে অসদাচরণ সহ বেশি ফিস নেয়ার অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
শিক্ষক আনোয়ার হোসেন লিটন প্রধান নির্বাহী অফিসারকে বলেন, এর আগেও শিক্ষা অফিসার নাজমুল হাসান এর কাছে অভিযোগ দেয়া হলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
স্কুলের শিক্ষক জয়ন্ত সরকার সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষকরা প্রতিবাদ করলে মামলা দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। রাতের অন্ধকারে মনগড়া কমিটি দিয়েছেন। স্কুলের ক্রয় বিক্রয় এর কোন কমিটি নেই। ইচ্ছামত স্কুলের সম্পদ বেচাকেনা করেন তিনি।
আমি অসুস্থতার কারনে স্কুলে আসতে পারিনি ১৭ দিন।মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিলেও আমার ১৭ দিনের বেতন কেটে রেখেছেন মতিয়ার রহমান। কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বললেই শোকচ করেন তিনি।
প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান মুঠোফোন জানান,
আমি বরাবরের মত সকালে স্কুলে গিয়ে দেখি শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে,এবং আমাকে জোরপূর্বক অপসারণ এর চেষ্টা করে। আমি কোনরকম স্কুল থেকে খোকসা উপজেলায় চলে আসি ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইরুফা সুলতানা অভিযোগ শোনার পর বলেন, অভিযোগ পেলেই বর্তমানে শিক্ষক অপসারণ করা নিষেধ আছে। তিনি ছাত্রদের অভিযোগ
পত্র দাখিল করতে বলেছেন এবং তদন্ত শেষ না হওয়া অব্দি সভায় উপস্থিত প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান কে স্কুলে না যাবার নির্দেশ দিয়েছেন।শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাবার কথা বলেন এবং
তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন শিক্ষার্থীদের