স্টাফ রিপোর্টার :
গজারিয়া উপজেলা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অংশের কয়েকটি পয়েন্টে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
আজ শুক্রবার (১৭জুন) দুপুর পৌণে একটার দিকে উপজেলার ভবেরচর বাস স্টান্ড এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে স্থানীয়রা। তাদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, গজারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই বারের উপজেলা চেয়ারম্যান রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা, এলজিইডি’র প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ, ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজ্জুজামান খান জিতু, বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রধান, টেঙ্গার চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ফরাজী প্রমূখ।
রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা বলেন, প্রতিনিয়তই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনায় পথচারী নিহতের খবর পাওয়া যায়। এত লাশ আর বহন করার মত ক্ষমতা নেই গজারিয়া উপজেলাবাসীর। শুধু সাধারণ মানুষ নয় গত কয়েক বছরে উপজেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী মারা গেছেন সড়ক দুর্ঘটনায়। এভাবে আর চলতে পারে না অনতিবিলম্বে গজারিয়ার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এলাকায় ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।
এলজিইডি’র প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ বলেন, বাধ্য হয়ে তাদের পথে নামতে হয়েছে, আর কত মায়ের বুক খালি হবে। বেপরোয়া যানবাহন চালকদের কাছে পথচারীরা রীতিমতো অসহায়।আওয়ামী লীগ সরকারের অসংখ্য উন্নয়নের মাঝে এটি যেন একটি বিষফোঁড়া। চলতি বছরই গজারিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্টে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।
দুপুর পৌণে একটা থেকে প্রায় দুইটা পর্যন্ত চলে তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি। এ সময় মহাসড়কে তাদের অবস্থানের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সরকারের উপর মহলের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা। অবরোধকারীদের সরকারের উপর মহল থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনা জানিয়ে দেন উপজেলা পরিষদের সাবেক দুইবারের চেয়ারম্যান রেফাত উল্লাহ খান তোতা।
তিনি বলেন, আন্দোলনের খবর ইতোমধ্যে সরকারের উপরমহল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেবেন তারা। পাশাপাশি যতদিন না পর্যন্ত ফুটওভার ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয় ততদিন মহাসড়কের গজারিয়া অংশের ভবেরচর, ভাটেরচর এবং বাউশিয়া এলাকায় সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। যদি তারা তাদের কথা না রাখেন তাহলে পরবর্তীতে জনগণকে সাথে নিয়ে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেন তিনি।