গাজীপুর মহানগরীর বোর্ডবাজার এলাকার দুটি গুদাম থেকে অবৈধভাবে মজুদ করা সাত হাজার ৫৮ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় দুই গুদাম মালিককে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে বোর্ড বাজারের মনির ট্রেডার্স ও মেসার্স আর পি ট্রেডার্সের গুদামে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিদপ্তর গাজীপুরের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুল জব্বার মন্ডল।
আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, অবৈধভাবে সয়াবিন তেল মজুতের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অভিযোগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বোর্ডবাজার এলাকায় মান্নান টাওয়ারে অবস্থিত মেসার্স মনির জেনারেল স্টোরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দোকান মালিক তার গুদামে এক লিটার, দুই লিটার ও পাঁচ লিটার পরিমাণের বোতলজাত দুই হাজার ৫৮ লিটার সয়াবিন তেল অবৈধভাবে মজুত করে রেখেছিলেন। এসব তেল ঈদের আগে কম দামে ক্রয় করে মজুদ করে রাখা হয়েছিল অতিরিক্ত মুনাফায় বিক্রি করার উদ্দেশ্যে। বাজারে সংকট তৈরি করে দোকান মালিক বর্তমান বেশি মূল্যে বিক্রি করছিলেন। এ কারণে দোকান মালিক মনির হোসেনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পরে পার্শ্ববর্তী মেসার্স আরপি ট্রেডার্স প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়। সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে তেল বিক্রি ও মূল্য তালিকা না থাকায় এ প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পরে উদ্ধার করা তেল ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করে দেয়া হয়।
এ সময় ন্যায্যমূল্যে তেল পেয়ে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন ভোক্তারা। মেসার্স মনির জেনারেল স্টোরের গুদাম থেকে জব্দকৃত সয়াবিন ১৬০ টাকা দরে ১ লিটার, ৩১৮ টাকায় দুই লিটার ও ৭৬০ টাকা দরে ৫ লিটার তেল জনসাধারণের মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে।
অপরদিকে, মেসার্স আরপি ট্রেডার্সের তেলগুলো পূর্বের কেনা দাম অর্থাৎ ১৪৩ টাকা দরে প্রতি লিটার বিক্রি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে ন্যায্যমূল্যে তেল বিক্রি হচ্ছে, এমন সংবাদ পেয়ে বৃষ্টিতে ভিজেও বিভিন্ন এলাকার মানুষ তেল নিতে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে তেল নেন। এক একজনকে ৫ লিটার পর্যন্ত তেল নিতে দেখা গেছে।
কথা হয় ন্যায্যমূল্যে তেল নিতে আসা করিমন নেছার সাথে। তিনি বলেন, হঠাৎ এমন সংবাদ পেয়ে দৌড়ে লাইনে দাঁড়িয়েছি। শেষমেষ ৫ লিটার তেল পেয়েছি। কয়েকটা দিন ভালোই যাবে।
অভিযানে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।