ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

সাংবাদিক
এনসিপি’র কর্মসূচি ঘিরে গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

গোপালগঞ্জে সহিংসতার প্রেক্ষাপটে বুধবার বিকালে অন্তর্বতী সরকারের তরফ থেকে এই বিবৃতি দেয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গোপালগঞ্জে যে সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে নিন্দনীয় ও অমার্জনীয়। শান্তিপূর্ণভাবে এক বছর আগের বিপ্লবী আন্দোলনের বার্ষিকী পালন করতে আসা তরুণ নাগরিকদের ওপর এমন হামলা তাদের মৌলিক অধিকার হরণের শামিল। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য, পুলিশ এবং সাংবাদিকরা আজ নির্মমভাবে হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়েছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই বর্বরোচিত হামলা, যা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগ ও দলীয় কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে—তার জবাবদিহি অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে। হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের ওপর এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’

এতে বলা হয়, ‘আমরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের প্রশংসা জানাই এবং সেই সঙ্গে সাহসী ছাত্রদের অবিচলতা ও দৃঢ় মনোবলের জন্য অভিবাদন জানাই, যারা সব হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সমাবেশ চালিয়ে গেছেন।’

‘এই বর্বরতার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। এটা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিচ্ছি: বাংলাদেশের মাটিতে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে—এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি।’

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০১:১৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
৫১৮ Time View

গোপালগঞ্জের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

আপডেটের সময় : ০১:১৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
এনসিপি’র কর্মসূচি ঘিরে গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

গোপালগঞ্জে সহিংসতার প্রেক্ষাপটে বুধবার বিকালে অন্তর্বতী সরকারের তরফ থেকে এই বিবৃতি দেয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গোপালগঞ্জে যে সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে নিন্দনীয় ও অমার্জনীয়। শান্তিপূর্ণভাবে এক বছর আগের বিপ্লবী আন্দোলনের বার্ষিকী পালন করতে আসা তরুণ নাগরিকদের ওপর এমন হামলা তাদের মৌলিক অধিকার হরণের শামিল। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য, পুলিশ এবং সাংবাদিকরা আজ নির্মমভাবে হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়েছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই বর্বরোচিত হামলা, যা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগ ও দলীয় কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে—তার জবাবদিহি অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে। হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের ওপর এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’

এতে বলা হয়, ‘আমরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের প্রশংসা জানাই এবং সেই সঙ্গে সাহসী ছাত্রদের অবিচলতা ও দৃঢ় মনোবলের জন্য অভিবাদন জানাই, যারা সব হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সমাবেশ চালিয়ে গেছেন।’

‘এই বর্বরতার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। এটা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিচ্ছি: বাংলাদেশের মাটিতে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে—এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি।’