ঘরে বসেই জাল টাকা বানাতেন কলেজছাত্র জিসান। রাজধানীর কদমতলী এলাকায় বাবা-মা ও ভাইদের সঙ্গে থাকতেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের অগোচরে নিজের ঘরে গড়ে তুলেছিলেন নকল টাকা তৈরির সব আয়োজন। কম্পিউটার প্রিন্টারসহ সেই আয়োজনে রয়েছে নানা সরঞ্জাম।
শুক্রবার সকালে র্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত এক বছরে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকার নোট ছেপেছেন জিসান। অভাব-অনটনের পরিবারে পড়াশোনার পাশাপাশি এই অবৈধ কাজে তাকে সহযোগিতা করেছে জাল টাকা তৈরির একটি বড় চক্র।
র্যাব জানায়, বৃহস্পতিবার রাজধানীর কদমতলীর বাসা থেকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে র্যাবের জালে ধরা পড়েন জিসান। তাৎক্ষণিকভাবে ২ লাখ ৩০ হাজার জাল টাকা, কম্পিউটার, জাল টাকার ছাপা মেশিনসহ নানা সরঞ্জাম তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এখন পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় দুই কোটি টাকা ছড়িয়েছেন এই কলেজছাত্র।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমন- ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ ও টেলিগ্রামে বিভিন্ন চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন জিসান। একইভাবে টাকা বিক্রির জন্য অনলাইনকেই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
র্যাব কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, জিসানের পরিবারের আর্থিক সমস্যা রয়েছে। তিনি একজন মাদকসেবী। মাদক সেবনের টাকা জোগাড়ের জন্য তিনি মূলত এ কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়। জিসান নিজেই টাকা তৈরি করে বিভিন্ন ক্লাইয়েন্টকে জাল টাকা সরবরাহ করে আসছিলেন।
জাল টাকা তৈরি চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার।