বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র পূর্বাভাসের কারণে পটুয়াখালীতে কৃষকদের আবাদকৃত বোরো ধান কাটার নির্দেশ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগের দেওয়া নির্দেশনায় ৮০ শতাংশ ধান পেকেছে এমন খেতের ধান যত দ্রুত সম্ভব কেটে ঘরে তুলতে বলা হয়েছে। তবে যেসব খেতের ধান এখনও ভালোভাবে পাকেনি, সেসব কৃষকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
শনিবার পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ৮০ শতাংশ ধান পেকেছে এমন বোরো খেতের ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য নিদের্শনা দিয়ে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। নির্দেশনা পাওয়ার পর কৃষকরা তাদের কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বোরা চাষিদের ধান কাটার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে, যাতে তাদের এ কষ্টের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল বলেন, আমন ধান কেটে ফেলার পর এ অঞ্চলের কৃষকরা জানুয়ারিতে বীজতলা তৈরি করেন এবং ফেব্রুয়ারিতে ধান রোপণ করেন। মে মাসে কৃষকরা পাকা ধান সংগ্রহ করেন। তবে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস থাকায় আগেভাগেই ধান কাটার জন্য আমরা কৃষকদের নির্দেশনা দিচ্ছি।
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর পটুয়াখালীর ৮ উপজেলায় বোরো চাষ হয়েছে ১৬ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে, আর এতে ৮৪ হাজার ৫১২ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।