আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, অপরাধীদের একটি ডাটাবেজ হয়েছে। সেগুলো দেখে ঘৃণ্য অপরাধে জড়িতদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হবে।
বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন উপস্থিত ছিলেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের সুযোগ্য নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। এর আগে ঈদুল আজহাও আল্লাহর রহমতে সফলভাবে শেষ হয়েছে। অতীতের মতো এবারও তেমন যানজট ছিল না।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে উৎকণ্ঠা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কারণ সীমান্ত এলাকায় তাদের অপতৎপরতা নিয়ে সরকার সচেতন আছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল লোক আছে। যারা মাদক কারবারে জড়িত। মাদক আনা, পাচার করা বা সরবরাহ করছে তারা। সেগুলোর ওপর আরও বেশি কঠোর নজরদারি রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে মাদক আসা বন্ধে কঠোর হবে। যাতে মাদক দেশের ভেতরে আসতে না পারে, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। অপরাধীদের ডাটাবেজ তৈরি হয়েছে। যাতে সেগুলো দেখে ঘৃণ্য অপরাধীদের ওপর যাতে সবসময় গোয়েন্দ নজরদারি রাখা যায় সেই ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রাত্রিকালীন টহল আরও বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মাদকের প্রবেশ দ্বারগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। কিছু লোক হঠাৎ উধাও হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা ধর্মের নামে উন্মাদনা সৃষ্টির সঙ্গে যেসব সংগঠন জড়িত তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে সন্দেহ করা হয়েছে। তাদের কিছু লোককে ধরাও হয়েছে। ধরাপড়ারা স্বীকার করেছেন যে, তারা ওই কানেকশনেই যাচ্ছিলেন। কাজেই ওই উৎস খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে অনেকটা চিহ্নিতও হয়েছে কারা কারা এর সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকার সব সময় সচেতন আছে।