পুরান ঢাকার চকবাজারে পলিথিন কারখানার আগুনে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস পরিদর্শক মো. আনোয়ার। তিনি জানান, বাকিদের মরদেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬ ইউনিট নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও ৪টি ইউনিট পাঠানো হয়। পরে দুপুর দুইটা ২০মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সংস্থাটি জানায়, হোটেলের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন শুরুতে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারে যায়। সেখানে আরেক দফা বিস্ফোরণের পর প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির কারখানায় আগুন লাগে।
স্থানীয়রা জানান, চারতলা ভবনের তৃতীয় তলা পর্যন্ত পাকা ভবন আর চতুর্থ তলায় টিনশেড ঘর নির্মাণ করা আছে। এই টিনশেড ঘরটি মূলত প্লাস্টিকের খেলনা উৎপাদন ও মজুদের গোডাউন। এখান থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়।
ঘটনায় নিখোঁজ ওসামানের খালাতো ভাই মো. রুবেল বলেন, যে ভবনে আগুন লেগেছে সেটির নিচ তলায় বরিশাল হোটেলে কাজ করতো ওসমান। রাতে কাজ করে ওই ভবনের দুই তালায় ঘুমিয়ে ছিলো। কিন্তু আগুন লাগার পরে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। একাধিকবার তার ফোনে ফোন করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, আগুন লাগা ভবনটির দোতলায় গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা মানুষের হাড়ের মতো কিছু দেখতে পেয়েছি।
মো. আব্দুল্লাহ নামের আরেকজন জানান, মো. বিল্লাল (৩৩) নামে তার দুলাভাইও নিখোঁজ। তিনিও বরিশাল হোটেলে কাজ করতেন। গত রাতে নাইট ডিউটি করে দিনে আগুন লাগা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘুমাচ্ছিলেন। আগুন লাগার পর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।