চাঁদপুর সিএসডি গোডাউনের ২০ টন সরকারি চাল পাচারকালে জব্দ করা হয়েছে। পরে চালভর্তি কাভার্ডভ্যান জেলা খাদ্য কর্মকর্তার হেফাজতে রাখা হয়। এছাড়া এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার রাতে জেলার হাজিগঞ্জে পুলিশ চেক পোস্টে চালসহ কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়। পরদিন রবিবার পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর (সিএসডি) খাদ্য গোডাউন থেকে ২০ টন চাল পাচারের সময় হাজীগঞ্জে গাড়িসহ চালককে আটক করে পুলিশ।
গাড়ির চালক আব্দুর সাত্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি পুলিশকে জানান, চাঁদপুর সিএসডি গোডাউনের সরদার শিপন চৌধুরী, লেবার সরদার হজু, হক ও শফিক চালগুলো গোডাউনের ভেতর থেকে গাড়িতে বোঝাই করে দিয়েছেন। ২০ টন চাল তারা দাউদকান্দির ১ জন মেম্বারের কাছে বিক্রি করেন। সেই মেম্বারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ফারুক ট্রেডার্সে মালগুলি বিক্রি করে। লেবার সরদারের নির্দেশে দালাল জামালের মাধ্যমে কাভার্ডভ্যানটি ভাড়া নেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, প্রায় সময় চাঁদপুর সিএসডি গোডাউন থেকে এভাবে চাল বোঝাই করে ট্রাক চট্টগ্রামে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে সরকারি গোডাউন থেকে চাল পাচারের ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে হাজিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশেদুল ইসলাম তানভির ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আজ রবিবার বিকেলে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তদন্ত কমিটির প্রধান হাজিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশেদুল ইসলাম তানভির বলেন, গাড়িকে ২০ টন চাল আছে জানতে পেরে গাড়িটিকে জব্দ করে রাখা হয়। প্রথমে গাড়ির চালক কোনও প্রকার কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি। পরে চাঁদপুর থেকে এক ব্যাক্তি এসে কাগজ পত্র দেখানোর পর দেখতে পেলাম এ চাল চাঁদপুর সদর ও হাইমচর এলাকার। তখন গাড়িটি চাঁদপুরে নিয়ে যেতে বলি।
এ বিষয়ে হাজিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জোবায়ের সৈয়দ বলেন, হাজীগঞ্জ চৌরাস্তা এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ গাড়িটি তল্লাশি কালে চালের কাগজপত্র চালক দেখাতে না পারায় বিষয়টি হাজিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়।