মোঃজিলহাজ বাবু ,জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৭ই অক্টোবর চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন। গত মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণার পর থেকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কে হচ্ছেন এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈনুদ্দীন মণ্ডলের মৃত্যুর কারণে নতুন প্রার্থী বাছাইয়ের কথা ভাবতে হচ্ছে দলটিকে। এখন পর্যন্ত ৫ জন নেতা মঈনুদ্দীন মণ্ডলের বিকল্প হতে নানাভাবে লবিং-তদবির করছেন। সবাই দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। এ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থীরাও স্থানীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড। জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রার্থী নিশ্চিত করবেন। এদিকে বিএনপিতে এ নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় এ সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বলছেন।
মঙ্গলবার দেশের ৬১ জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ও মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। ১৭ অক্টোবর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন জেলা প্রশাসক। একই দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫ উপজেলা ৪ পৌরসভা ও ৪৫টি ইউনিয়নের নির্বাচিত জনপ্রতিনধিরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তফসিল ঘোষণার পর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে কে প্রার্থী হচ্ছেন- সেটা নিয়ে চলছে আলোচনা। আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন আওয়ামী লীগ নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শরিফুল আলম, জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক মো. আশরাফুল হক ও গোমস্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খুরশিদ আলম বাচ্চু। মনোনয়ন প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে আগ্রহ রয়েছে। প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া দলের হাইকমান্ডের দায়িত্ব। আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাইব। এছাড়াও জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক মো. আশরাফুল হক বলেন,আগামী নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন পেলে আমি আবারো জনগণের সেবা করতে পারবো এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত কে শক্তি শালি করতে পারবো।আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপক শরিফুল আলম বলেন, আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমিও একজন প্রার্থী। দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বিবেচনায় দল তাকে মনোনয়ন দেবেন বলে আশাবাদি তিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ বিশ্বাস বলেন, নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচনে হবে। আর প্রার্থিতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড। বোর্ড সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুকন্যা যাকে মনোনয়ন দেবেন তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।