কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তির চ্যাটজিপিটি নিষিদ্ধ করেছে ইতালি। প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে ইতালি চ্যাটজিপিটি নিষিদ্ধ করলো। খবর: বিবিসি।
দেশটির তথ্য-সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ জানায়, মার্কিন স্টার্ট-আপ ওপেনএআই’র তৈরি এবং মাইক্রোসফ্ট সমর্থিত চ্যাটজিপিটি নিয়ে গোপনীয়তার উদ্বেগ রয়েছে। তারা ওপেনএআই নিষিদ্ধ এবং তদন্ত কাজ শুরু করেছে।
২০২২ সালের নভেম্বরে চ্যাটজিপিটি চালু হওয়ার পর থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ এটি ব্যবহার শুরু করেছে। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফ্ট এই প্রজেক্টে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে এবং এটি গত মাসে বিং-এ যুক্ত হয়েছিলো।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়ে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। চাকরির জন্য হুমকি, ভুল তথ্য ও পক্ষপাতিত্ব ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি আছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইলন মাস্কসহ প্রযুক্তি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এ ধরনের এআই সিস্টেমগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন। তারা এসব কার্যক্রম স্থগিত করারও আহ্বান জানিয়েছিলেন।
ইতালীয় ওয়াচডগ বলেছে, চ্যাটজিপিটির কেবল ওপেনএআই-এর চ্যাটবটই ব্লক করা হবে না, এটি জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন মেনে চলছে কিনা তাও তদন্ত করা হবে। গত ২০ মার্চ তারা জানিয়েছিলো, ব্যবহারকারীর কথোপকথন এবং অর্থ প্রদানের তথ্য সংশ্লিষ্ট ডেটা লঙ্ঘনের সম্মুখীন হয়েছে এই অ্যাপে।
ইতালির তথ্য-সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০ মিলিয়ন ইউরো (২১.৭ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা বা বার্ষিক রাজস্বের ৪% পর্যন্ত জরিমানার অধীনে ওয়াচডগের উদ্বেগগুলো সমাধানের জন্য ওপেন-এআইকে ২০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিলো।
কনজিউমার অ্যাডভোকেসি গ্রুপের (বিইইউসি) উপ-মহাপরিচালক উরসুলা পাচল সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এআই (কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা) যে ক্ষতি করতে পারে, তা থেকে সমাজ বর্তমানে যথেষ্ট সুরক্ষিত নয়।
তিনি বলেন, চ্যাটজিপিটি এবং এর মতো অন্যসব চ্যাটবটগুলো কীভাবে মানুষকে প্রতারিত এবং প্রভাবিত করতে পারে, তা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ বাড়ছে। এই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাগুলোকে আরো বেশি জনসাধারণের যাচাই-বাছাই প্রয়োজন। সরকারি কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই তাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।