তামিম ইকবালের দায়িত্বশীল ইনিংসের সঙ্গে কাইল মায়ের্স করেছেন ঝড়ো গতির পঞ্চাশ। আর তাতেই সহজেই চট্টগ্রামের দেওয়া ১৩৬ রানের লক্ষ্য টপকে যায় ফরচুন বরিশাল। তামিম ইকবালের ৫২ রানের হার-না-মানা ইনিংসে ভর দিয়ে ৩১ বল বাকি থাকতেই বরিশালের ৭ উইকেটের বড় জয়। এলিমিনেটরের এই পরাজয়ে বিপিএল থেকে চট্টগ্রামের বিদায়, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের টিকিট পেল বরিশাল।
১৩৬ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই নেই সৌম্য সরকার। উইকেট কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়া সৌম্য পেয়েছেন ডাকের স্বাদ। তিনে নামা কাইল মায়ের্স এরপর তামিম ইকবালের সঙ্গী হন। তামিম-মায়ের্স রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন চট্টগ্রামের বোলিং লাইনের উপর।
তাদের ব্যাটিং তান্ডবের দিনে বরিশাল পায় পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ ৭৩ রান। আর তাতেই যেন ম্যাচ জয়ের পথ সহজ হয়ে যায় বরিশালের। ৫৪ বলে তামিম-মায়ের্স জুটির যখন ৯৮ রান, তখনই চট্টগ্রামকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু এনে দেন বিলাল খান।
২৫ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে কাইল মায়ের্স যেতে পারেননি বেশিদূর। পরের ওভারে বিলাল খান এসেই ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করেন ভয়ংকর হয়ে ওঠা মায়ের্সকে। তামিম এরপর দলের সংগ্রহ এগিয়ে নিয়ে যান ডেভিড মিলারকে নিয়ে। আগের দিন সকালে বাংলাদেশে পৌঁছে অনুশীলনে নামা মিলার আজ খেলছেন ম্যাচ।
তবে দল যখন জয়ের বন্দর থেকে কেবল ১১ রান দূরে, রোমারিও শেফার্ডে বলে উইকেট হারান ১৭ রানে থাকা ডেভিড মিলার। ২ বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩ বলে ১৭ করেন মিলার। এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে জয়ের বাকি কাজটা শেষ করে আসেন তামিম ইকবাল।
৪১ বলে তামিম পূর্ণ করেছেন অর্ধশতক। রান সংগ্রাহকদের শীর্ষস্থানে থাকা তামিমের ব্যাট থেকে এবারের বিপিএলে এটি তিন নম্বর ফিফটি।