কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে সন্তানসহ স্ত্রীর মারধর ও হুমকি পেয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন জনপ্রিয় রেডিও জকি ও ইউটিউবার গোলাম কিবরিয়া সরকার। বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সদর মডেল থানা তিনি সাধারণ ডায়েরি করেনি। বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আর জে কিবরিয়া স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে এসে পর্যটন এলাকার হোটেল সাইমনের ১০২ নম্বর কক্ষে ওঠেন। সেখানে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তার স্ত্রী রাফিয়া লোরা সন্তানকে মারধর করেন। পরে স্ত্রীকে ফেরাতে গেলে তাকেও মারধর করেন তার স্ত্রী।
বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেন কিবরিয়া। তিনি লেখেন, ‘প্রিয় পরিচিত জন, আমার জ্ঞান অনুযায়ী আমি কোনোদিন আমার পারিবারিক বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোচনা-সমালোচনা হয়, এমন কোনও বিষয় নিয়ে কথা বলিনি। আমি বলতেও চাই না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে আমার স্ত্রী। আমি কম-বেশি সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক ফেস করা মানুষ। আমি জানি একটা সংবাদ যাচাই-বাছাই না করে অনলাইনে ছাড়া যায়। ঘটনা পুরো উল্টে দেয়া যায়। কাউকে নিয়ে পাবিলিকলি বাজে কথা বলার পক্ষে না। আমি জানি আমার চির শত্রু বলে যদি কেউ থেকে থাকে তো সে প্রথম এবং একমাত্র টার্গেট করবে আমার চরিত্র এবং পাবলিক ইমেজ। আমি সেটাতে বিন্দুমাত্র ভয় পাই না।’ সবাইকে আশ্বস্থ করে শেষে লিখেন, আমি আমার কাছে সৎ এবং কারো প্রতি কোনও অন্যায় করিনি। যারা আমাকে ভালোবাসেন তারা আস্থা রাখুন। দোয়া করবেন।’
সেই পোস্টের একজনের কমেন্টের জবাবে কিবরিয়া লিখেন, ‘অনেক সেক্রিফাইস করেছি অনেক। আপনি ছাড়া আর কে বেশি ভালো জানেন। জন্মদাতা মা কেও ঢুকতে দিতে পারি না আমার বাসায়। সন্তানকেও তাই বলে সেক্রিফাইস! নোপ। নেভার! আর কতকাল পাবলিক ইমেজের ক্ষতি হবে ভেবে নিজেকে নিজে ধ্বংস করবো। আমি সব কিছুর জন্য প্রস্তুত আছি। ইনশাআল্লাহ।’
জানা গেছে, গত বুধবার কক্সবাজার আর জে কিবরিয়া স্ত্রী-সন্তানসহ ৫ থেকে ৭ জনের একটি পারিবারিক বহর নিয়ে বেড়াতে এসে সৈকত তীরের সাইমনের ১০২ নম্বর কক্ষে ওঠেন। সেখানে বৃহস্পতিবার সকালের কোনও এক সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। পরে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চান আর জে কিবরিয়া।
আর জে কিবরিয়ার পুরো নাম মো. গোলাম কিবরিয়া সরকার। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে রেডিওতে কাজ করেছেন তিনি।