মার্কিন জলবায়ু বিষয়ক দূত জন কেরি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জলবায়ু সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার কথা ভাবছেন। বিবিসি রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসি জানায়, এই পদক্ষেপ বাইডেনকে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি কর্মসূচিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত ক্ষমতা দেবে, যা কংগ্রেসে সমর্থনের অভাবে আটকে রয়েছে।
কেরি বিবিসিকে বলেন, কংগ্রেস যে ‘পুরোপুরি’ পক্ষে ছিল না তা ‘আদর্শের চেয়ে কম’।
তবে কার্বন-ভিত্তিক শক্তি প্রতিস্থাপনের জন্য বাইডেনের চেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কেউ ছিলেন না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
কেরি আরও বলেন, সরকারের পরিবেশ নীতি সীমাবদ্ধ করে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সাম্প্রতিক রায় কোনো কাজেই আসেনি।
জলবায়ু পরিবর্তন গরম, শুষ্ক আবহাওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় যা দাবানলের কারণ হতে পারে।
শিল্প যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে পৃথিবী ইতিমধ্যেই প্রায় ১ দশমিক ১ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উষ্ণ হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকার শিল্প-কারখানার নির্গমন কমানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ না নিলে তা বাড়তেই থকেবে।
খোদ যুক্তরাষ্ট্রে দুই ডজনেরও বেশি রাজ্য জুড়ে কয়েক মিলিয়ন মানুষ গত সপ্তাহে তাপ সতর্কতার মধ্যে বসবাস করছে।
তবে জলবায়ু পরিবর্তন বিল পাস করার জন্য বাইডেনের প্রচেষ্টা চলতি মাসের শুরুতে একটি ধাক্কা খায়। তখন পশ্চিম ভার্জিনিয়ার রক্ষণশীল ডেমোক্র্যাট সিনেটর জো মানচিন সাফ জানিয়েছিলেন তিনি আইনটির পক্ষে ভোট দেবেন না।
বুধবার বাইডেন প্রতিকূল আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ্য করতে পারে এমন অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা করার জন্য দুই দশমিক তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে ডেমোক্র্যাট এবং পরিবেশবাদী গোষ্ঠীগুলো চাপ দিলেও তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জলবায়ু জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা থেকে বিরত ছিলেন।
জন কেরি জানান, বিশ্ব শিখছে যে সবুজ শক্তি মূল্যস্ফীতি হ্রাস করে, শক্তির ব্যয় হ্রাস করে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এবং স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা উন্নত করে।
বাইডেন নির্বাহী আদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ‘তার কাছে থাকা প্রতিটি উপায়’ কাজে লাগাতে প্রস্তুত ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।