দেশে কারফিউ চলাকালে ‘বিশেষ ও জরুরি প্রয়োজন’ ছাড়া কেউ বাইরে বের হলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে সরকার। দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
এসময় কমিশনার হাবিবুর রহমান কারফিউ চলাকালে কাউকে বাসা থেকে বের হতে নিষেধ করেন। বের হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, শিক্ষার্থীদের ব্যানারে জামায়াত, শিবির ও বিএনপির নাশকতাকারীরা রাস্তায় নেমেছে। তাদের দমাতে যেভাবেই আইন প্রয়োগ করলে হবে, সেভাবেই করা হবে।
এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অহসযোগ কর্মসূচির মধ্যে জনগণকে কারফিউ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
গণমাধ্যমে পাঠানো আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনগণের জান-মাল ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সংবিধান ও দেশের প্রচলিত আইনের আলোকে তার প্রতিশ্রুত দায়িত্ব পালন করবে। এ বিষয়ে জনসাধারণকে কারফিউ মেনে চলার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন বলবৎ করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে শনিবার (৩ আগস্ট) সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে অসহযোগ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ চলছে। রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন আন্দোলনকারীরা। পাল্টা কর্মসূচিতে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে পুলিশসহ এখন পর্যন্ত ৮১ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ ঘোষণা করেছে সরকার। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কারফিউ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এছাড়া সোম, মঙ্গল ও বুধবার (৫, ৬ ও ৭ আগস্ট) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।