৩০ ই জুন, ২০২৪, রবিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯৬০ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।
সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক অধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক ও বি সি এস এডুকেশন ক্যাডার এর সদস্য বাবু রণজিৎ মল্লিক।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর মিডিয়া ও জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
সেমিনারে আলোচকবৃন্দ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু, সাদিয়া হালিমা ও শাকিব হোসেন।
সেমিনারে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মিসেস আকলিমা জাহান ও সংগীতা বিশ্বাস।
সভাপতির বক্তব্যে ড. কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা সবার জন্য অনন্ত প্রেরণার উৎস।
সেমিনারের মুখ্য আলোচক পি এইচ ডি গবেষক অধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চারটি বাজেট প্রণয়ন করেছিলেন। জাতির পিতা বাজেট প্রণয়নের মাধ্যমে পুনর্বাসন প্রথমত সম্পন্ন করতে চেয়েছেন এবং সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছেন। পুনর্গঠনের কাজ প্রক্রিয়াধীন ছিল। রাজস্ব বাজেটে যে ঘাটতি থাকে তা অভ্যন্তরীণ ভাবে উন্নয়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূরণ করার চেষ্টা করেছিলেন। দেশের অভ্যন্তরীণ ঋণ থেকে বৈদেশিক ঋণ প্রভৃতি নিয়ে কাজ করেছেন। ঘাটতি বাজেট পূর্ণ করতে বঙ্গবন্ধু অভ্যন্তরীণ রিসোর্স সংগ্রহের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ গড়তে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে এবং অনিয়ম কমবে।
সেমিনারের প্রধান অতিথি
পি এইচ ডি গবেষক বাবু রণজিৎ মল্লিক বলেন, জাতীয়তাবাদ আন্দোলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জাতীয়তাবাদকেও ছাড়িয়ে যেতে চেয়েছিলেন। ন্যাশনালিজমকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আপন করে নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয়তাবাদের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এভাবে- মানবিকভাবে আবদ্ধ থাকলে হবে না আন্তর্জাতিকভাবে মানবিক হতে হবে। এই বিশ্বাসে রবীন্দ্রনাথ যেমন বিশ্বাসী ছিলেন বঙ্গবন্ধু সেই একই বিশ্বাসকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। বিশ্ব গ্লোবালাইজেশন হয়েছে ,ভৌত অবকাঠামোগতভাবে উন্নয়ন হয়েছে ,অর্থনৈতিকভাবে উন্নতির দিকে এগিয়ে গেছে কিন্তু আমাদেরকে মানবিকভাবে উন্নত হওয়ার পথে এগোতে হবে। বঙ্গবন্ধু যে রাষ্ট্র দর্শন উপস্থাপন করছেন তা বিশ্ব মানবিকতাকে উপস্থাপন করে। তৎকালীন সময়ে কিছু মানুষের কুটিল কৌশলের কারণে বঙ্গবন্ধুকে জীবন উৎসর্গ করতে হয়েছে।
এই পি এইচ ডি গবেষক আরও বলেন, ১৯৭৪ সালের এই সময়ে বাংলাদেশকে উন্নত করতে জাতির পিতা অমানসিক পরিশ্রম করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন করার জন্য সাড়ে তিন বছর পরিশ্রম করে গেছেন দেশকে স্থিতিশীল করতে। বঙ্গবন্ধু যে রাষ্ট্র দর্শনের জন্য কাজ করেছেন তা সবার জন্য মঙ্গলজনক।
সেমিনারের বিশেষ অতিথি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন , মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হয়েও আওয়ামী লীগের অনেকেই বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শন চর্চা করেন না।
তিনি আরও বলেন,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বয়োজ্যেষ্ঠদের সাথে পরামর্শ করতেন এবং তা গ্রহণ করতেন।
জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার মিসেস সাদিয়া হালিমা বলেন, একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের সঙ্গে, একটি গর্বিত জাতির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নামটি অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত হওয়ার পেছনে তার উদারচিত্ত, নিখাদ দেশপ্রেম, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা এবং নিরলস কর্মপ্রচেষ্টা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। আর এভাবেই টুঙ্গিপাড়ার মুজিবুর রহমান ক্রমে রাজনীতির কবি হয়ে ওঠেন। হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু। জাতির পিতা।
সেমিনারে উপস্থিত জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন প্রজ্ঞাবান, দূরদর্শী ও অমিত তেজী নেতা।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।