জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে। অন্যথা বিষয়টি রাজপথেই ফয়সালা হবে।
শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহে আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি, জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং পুলিশ ও দুর্বৃত্তের গুলিতে বিএনপি কর্মীদের মৃত্যু, হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ সফল করতে ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, জামালপুর, শেরপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলার নেতাকর্মীরা অংশ নেন। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয় সমাবেশস্থল।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দাবি একটাই- দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। দেশনায়ক তারেক রহমানের ওপর থেকে সব মামলা প্রত্যাহার করে দেশে আসার সুযোগ দিতে হবে।
এ সময় তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর থেকে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের মুক্তি দেয়ার দাবি তুলেন।
ময়মনসিংহে পলিটেকনিকেল ইনস্টিটিউট মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সভা শুরুর কয়েক মিনিট পর প্রধান অতিথি হিসেবে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।
এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরীতে ছয় শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। জিরো পয়েন্ট, সিজিএম কোর্ট এলাকা, চরপাড়া মোড়সহ নগরীর প্রবেশ মুখগুলোতে সতর্ক অবস্থানে ছিলো পুলিশ।
আগের রাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের অবস্থান করা শহরের একটি হোটেলে দুর্বৃত্তদের ভাঙচুর এবং রেলওয়ে স্টেশনের কৃষ্ণ চত্বরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীদের সঙ্গে সমাবেশ থেকে ফেরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া ছাড়া বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।