জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এসবের প্রতিবাদে দল থেকে গতকাল গণপদত্যাগ করলেন ৯৬৮ জন নেতা-কর্মী। পদত্যাগকালে তারা বলেন, এইচ এম এরশাদ স্বৈরাচার নন, স্বৈরাচার জি এম কাদের। তাঁর অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে জাতীয় পার্টি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তিনি পল্লীবন্ধু এরশাদের নামনিশানা মুছে দেওয়ার হীনচক্রান্ত করে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই গণপদত্যাগের ঘোষণা দেন নেতা-কর্মীরা। রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর, আদাবর, পল্লবী, হাতিরঝিল, মিরপুর, দারুসসালাম, শেরেবাংলানগর, বাড্ডা, রূপনগর থানার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের ৯৬৮ নেতা-কর্মী জি এম কাদেরের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ গণপদত্যাগ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন থানা এবং ওয়ার্ড থেকে মিছিলসহকারে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠান বলেন, পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এক বছর ধরে বলে আসছেন জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করবে।
সরকারের বিরুদ্ধে গরম গরম কথা বলেছেন। কিন্তু নির্বাচনের আগে তিনি গোপনে সরকারে সাথে আঁতাত করেছেন। শেষ পর্যন্ত পার্টির চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব ৩০০ আসন থেকে প্রার্থী মনোনীত করার পর মাত্র ২৬টিতে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ছাড় পাওয়ার বিনিময়ে গোটা পার্টিকেই বিক্রি করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই অবস্থায় জাতীয় পার্টির নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মী-সমর্থকরা চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।